প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ , ৭:৩৯ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ , ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
মেহেরপুরের স্ত্রী তাহায়ের করা যৌতুক মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালত ভবনের তিন তলা থেকে স্ত্রীকে ফেলে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে স্বামী। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত মামুন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার শওড়াতলা গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে এবং সীমা আক্তার তেতুলবাড়িয়া রামদেবপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, প্রায় এক যুগ পূর্বে সীমার সাথে মামুনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর যৌতুক চাওয়াকে কেন্দ্র করে সীমা তার স্বামী মামুনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সোমবার হাজিরা দিতে এসে সীমা ও মামুন আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে মামুন সীমাকে জাপটে ধরে ৩ তলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার পরপর সে নিজেও নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের এই আকস্মিকতায় আদালত ভবনে দাঁড়িয়ে থাকা সকলেই কিং কর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসে সিভিল ডিফেন্সের সদস্য এসে দুজনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সীমা আক্তারের আইনজীবী এডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, ‘মামুন ও সীমার বিয়ে হয় ২০১১ সালে। এক পর্যায়ে পারিবারিক বিবাদের সূত্র ধরে দু’পক্ষই আদালতে মামলা করে। সীমা খাতুন নারী নির্যাতন, যৌতুকসহ আরো দুটি মামলা করেন মামুন ও মামুনের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আদালতে মামলা রুজু করা হয়। এর পর আদালত ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে মামুনুর রশিদকে। আজকেও সেই জরিমানার ২০ হাজার টাকার কিস্তি দিতে এসেছিলো মামুন।’
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, at ১৯:০৫ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।