প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ৯:১৮ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ৯:১৮ অপরাহ্ণ
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ১৩ শিক্ষার্থীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়াও এ মামলায় আরও ১৪ জনসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হুমাহুম রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির গত ১০ জানুয়ারি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম খান শাওন, শরিফুল ইসলাম, একে আরাফাত। বাংলা বিভাগের রাকিবুল হাসান, তুষার রহমান, রাকিব হোসেন, পলাশ দাস। ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, সাইমুন হোসন, শাহারিয়ার শাকিল। ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ফারদিন খান। রসায়ন বিভাগের নাহিদ রাফিন ও নজরুল রিফাত। এছাড়া সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফেরদৌস, ২৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হান্নান বাপ্পী, মামুন ফরাজী ও শরিফুল ইসলাম। মামলায় আরও ১০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিরাজ বলেন, হামলাকারী আসামিদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এছাড়া পুরো ঘটনা তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। এ ঘটনায় মূল ভুক্তভোগী মাসুম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হুমাহুম রেস্টুরেন্টে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবারের বিল পরিশোধ করছিলেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের নেতৃত্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ২৫, ৩০ জনের একটি দল রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে কাউন্সিলরের মোটরসাইকেল চালক মাসুম ও পরে কাউন্সিলর হুমায়ূন কবিরকে ঘুষি ও লাথি মেরে নিচে ফেলে দেন। তবে অভিযুক্তদের দাবি, তারা ওই হোটেলে খাবার খেতে গেলে কয়েকজন ব্যক্তি এসে তারাতারি খাবার খেয়ে টেবিল ছাড়তে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচনের দিন তারা (আসামিরা) রুপাতলি এলাকায় ট্রাক প্রতীকের হয়ে কাজ করছিলো। এতে আমি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বলি তোমরা যেহেতু এই এলাকার ভোটার না সেহেতু তোমরা এখানে থাকতে পারবে না। একাধিকবার বলার পরও তারা না যাওয়ায় আমাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক মাসুম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বারবার যেতে বলার পরও তোরা যাচ্ছিস না তোদেরকে তো মাইর না দিলে তোরা যাবি না। পরে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তার সাহায্যে তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়। এর পর দুপুরে আমি ও মোটরসাইকেল চালক মাসুম হুমাহুম রেস্তোরাঁয় খাবার কিনতে গেলে মাসুমকে তারা অতর্কিত হামলা করে। মাসুম এসে আমার পিছনে আশ্রয় নিলে তারা আমাকেও মারপিট করে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউম বলেন, রূপাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে মারামারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শুনেছি। কিন্তু মামলার আসামি কারা তা আমি জানি না।
প্রক্টর আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা বাইরে কোন শিক্ষার্থী বিপদে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বদা পাশে পাবে। কিন্তু ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের বাইরে অন্যায় কোন কাজে জড়িত হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না। এই দায় শিক্ষার্থীর নিজেকেই নিতে হবে।
জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ at ২১:০৮ (GMT+06) রূপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।