স্কুলের মাঠেই কিশোর ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম হেইলি ক্লিফটন-কারম্যাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের এক স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসৌরির পুলাস্কি কাউন্টির ল্যাকি হাই স্কুলের গণিতের শিক্ষিকা হেইলি ক্লিফটন। ছাত্রের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে টেক্সাস থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ২৫ লাখ মার্কিন ডলারের বন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। টেক্সাস পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষিকাকে মিসৌরিতে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, ছাত্রের সাথে ওই শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে ল্যাকি হাই স্কুলের অধ্যক্ষ এবং সুপারিনটেনডেন্ট অবগত ছিলেন। কিন্তু তারা শিক্ষিকা হেইলি ক্লিফটনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। পরে স্কুলের এক ছাত্র ওই শিক্ষিকার সঙ্গে ছাত্রের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে।
শিক্ষিকার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া ১৬ বছর বয়সী কিশোর তার পিঠে ক্ষত চিহ্নের একটি ছবি সহপাঠীদের দেখিয়েছিল। ক্লিফটন-কারম্যাকের সাথে তার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কারণে পিঠে ক্ষত হয়েছিল বলে সে জানায়। ওই শিক্ষিকা শ্রেণিকক্ষে ছাত্রদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই কিশোরের বাবাও শিক্ষিকার সাথে তার ছেলের সম্পর্কের বিষয়ে অবগত ছিলেন। তাকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, স্কুলের মাঠে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার সময় কেউ আসছে কি না, তা দেখার জন্য অন্যান্য ছাত্রদের নজর রাখার নির্দেশ দিতেন শিক্ষিকা।
গত বছরের ডিসেম্বরে শিক্ষিকা হেইলি ক্লিফটন-কারম্যাকের ফোন তল্লাশি করার একটি আবেদন পেয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশের এক কর্মকর্তার মতে, ক্লিফটন-কারম্যাক কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়াই নিজের ফোনটি হস্তান্তর করেছিলেন। যা সচরাচর একই ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া অন্য কারো ক্ষেত্রে এমন স্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় না। পাশাপাশি তিনি কোনও ভুল কাজ করেননি বলে দাবি করেছিলেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্লিফটন-কারম্যাক তার আইনজীবীর পরামর্শ অনুযায়ী ফোনের পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ইলেকট্রনিক নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে ফোনটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তদন্তকারীরা এক ছাত্রের সাথে ক্লিফটন-কারম্যাকের একটি চ্যাট খুঁজে পান। যেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘ওই শিক্ষিকা গত ৮ ডিসেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। আমরা তার ফিরে আসার প্রত্যাশা করি না।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।