যশোর-৩ (সদর) আসনে ভোটারদের আতঙ্কিত করতে ভোটকেন্দ্রসহ একাধিক স্থানে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের আগের দিন শনিবার রাত ১০টা থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত শহর ও শহরতলী বিভিন্ন এলাকার কেন্দ্রগুলোতে এ ঘটনাগুলো ঘটেছে। এসব ঘটনায় কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য আহত হয়েছেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা দুই বারের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র মোহিত কুমার নাথসহ ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে এই আসনে লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।
স্থানীয়রা জানান, যশোর শহরের শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করেছে দুবৃর্ত্তরা। আজ রবিবার ভোট শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। আহত আনসার সদস্য হলেন মণিরামপুর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (২২)।
শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুর রহিম বলেন, সকাল থেকে কেন্দ্রটি স্বাভাবিক ছিল। হঠাৎ করে ভোট শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করে দুবৃর্ত্তরা। এতে এক আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে দুবৃর্ত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে।’
শনিবার সন্ধ্যা রাত ৭টার দিকে যশোর শহরতলীর শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই এলাকার সরকারি এনএম খান প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পেছনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
এ ছাড়া এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর শহরের বকচর এল মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় যশোর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথের (ঈগল) কার্যালয়ের সামনে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় হাতেনাতে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। এর আগে নওয়াপাড়া ইউনিয়নে কিসমত নওয়াপাড়ার মেহগনিতলা কেন্দ্রে ককটেল নিক্ষেপ করে দুবৃর্ত্তরা।
নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই কেন্দ্রে ভোটাররা উপস্থিত হন। তবে শহরের জিলা স্কুল, আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, কালেক্টরেট স্কুলসহ পাঁচটি কেন্দ্রে ঘুরে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ করা গেছে।
এসব এলাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের আগের রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।