কুবির হিল স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নয়া নেতৃত্বে মহিউদ্দিন-রনি 

আগের সংবাদ

ব্যালটে নৌকা নেই সাতক্ষীরা-২ আসনে, তবুও জয় নিয়ে টেনশনে জাপা

পরের সংবাদ

কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসন

সাবেক ও বর্তমান এমপির সঙ্গে সাবেক এমপিপুত্রের ত্রিমুখী লড়াই, সহিংসতার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১০:০২ অপরাহ্ণ আপডেট: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ , ১১:৪৬ অপরাহ্ণ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে আওয়ামী লীগের চারজনসহ মোট ১০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক এমপি আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী, বর্তমান এমপি এডভোকেট আ. কা. ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ও সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠপুত্র নাজমুল হুদা পটল ত্রিমুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ততই উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ছে। একইসঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কাও রয়েছে। সমানে চলছে বিভিন্ন প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা। গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা।

দৌলতপুর আসন থেকে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তখনকার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফাজ উদ্দিন আহমেদ। বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী হয়ে দাঁড়ান উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতৃত্বে থাকা আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী। রেজাউল হক চৌধুরীর পক্ষে চলে আসেন অধিকাংশ নেতাকর্মী। দলীয় প্রার্থী আফাজ উদ্দিন আহমেদকে প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আনারস প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী।

নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দলটির সভাপতি হয়েও আফাজ উদ্দিন আহমেদ কোণঠাসা হয়ে পড়েন, দল সরকারে থাকলেও তিনি অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে বাধ্য হন। আফাজপুত্র অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ বিশ্বাসকে সরিয়ে রেজাউল হক চৌধুরী ছোট ভাই বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী উপজেলা যুবলীগের নতুন কমিটির সভাপতি হন। একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিপতি হয়ে ওঠেন টোকেন চৌধুরী। আফাজ উদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন উপজেলার তারাগুনিয়া ডাক বাংলো চত্বরে এক সমাবেশে টোকেন চৌধুরী প্রতিপক্ষ বর্ষীয়ান নেতা অাফাজ উদ্দিনকে তুলাধুনো করে বক্তব্য দিয়ে গেলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।

রেজাউল হক চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার সমর্থিত ফিরোজ আল মামুনকে (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জিতিয়ে আনেন। এরপর ইউপি নির্বাচনে এখানকার ১৪ ইউনিয়নের সবগুলোতেই রেজাউল হক চৌধুরীর সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরও জিতিয়ে আনা হয়। দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে চলতে থাকে রেজাউল চৌধুরীর জামানা। দলীয় নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করার বিষয়েও চৌধুরী পরিবার বিশেষভাবে সমাদৃত।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান একেবারেই আলোচনার বাইরে থাকা সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আ. কা. ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লাসহ অধিকাংশ নেতাকর্মীকে ‘নাশকতার’ মামলায় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ফলে অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে এডভোকেট আ. কা. ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সঙ্গত কারণেই ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাদশাহর হাতে।

বাদশাহ্ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে এডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান। আরেক সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীকে হারিয়ে মামুুন বিশ্বাস উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। যদিও ওই নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্বে টোকেন চৌধুরীকে হারিয়ে দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। তবে সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ সংসদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও তার মেয়াদে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে রেজাউল চৌধুরীর হাত ধরে জয়ী হয়ে আসা ১৪ জন চেয়ারম্যানই পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশ চেয়ারম্যান পরাজিত হন। জয়ী হন মাত্র চারজন চেয়ারম্যান। এমপি বাদশাহর অসহযোগিতায় স্বতন্ত্রদের (দলীয়) কাছে নৌকার ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জিততে পারেননি বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক এমপি অাফাজ উদ্দিন আহমেদ মাত্র ১০দিনের ব্যবধানে স্ত্রীসহ করোনায় মৃত্যুবরণ করায় পরিবারের পক্ষ থেকে রাজনীতিতে বাবার হাল ধরা নিয়ে তার তিন ছেলের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ দেখা দেয়া। তারা কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে সম্মত হননি। তবে তারা দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন। আফাজ উদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠপুত্র নাজমুল হক পটল অপর দুই ভাইয়ের সমর্থন নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে যান। এখানকার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রয়াত অাফাজ উদ্দিন আহমেদের বিশেষ অবদান রয়েছে। রয়েছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। এই পরিবারের বড় সন্তান নাজমুল হুদা পটল এবার বাবার হাল ধরেছেন। তিনি বাবার এবং নিজের ক্লিন ইমেজকে কাজে লাগাতে নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদিকে বর্তমান এমপি বাদশাহ্ একদিন আগে (সোমবার) নির্বাচনী সভায় বক্তব্যের একপর্যায়ে ‘নৌকায় ভোট না দিলে সোজা করে দেব, আমাকে ৫০ পার্সেন্ট ভোট দিতেই হবে’ বলে হুঙ্কার দেন। এ ঘটনায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েন এমপি।

বিএনপিবিহীন এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দৌলতপুর আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আ. কা. ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে সরব রয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠপুত্র অধ্যাপক নাজমুল হুদা পটল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক। এছাড়া দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ আল মামুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কেটলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।

নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ছে। বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। একইসঙ্গে নির্বাচনে অাধিপত্য বিস্তার নিয়ে সহিংতার আশঙ্কাও রয়েছে। সমানে চলছে বিভিন্ন প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো উপজেলা। প্রার্থীরা রাতদিন গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তারা ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাছে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন। শঙ্কার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন সমীকরণ সামনে আসছে। উপজেলার চরাঞ্চলে বিশেষ করে পদ্মার ওপারে বর্তমান এমপি বাদশাহর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঈগল। সরওয়ার জাহান বাদশাহর নৌকা আর নাজমুল হুদা পটলের ঈগলের ভোটই সবখানে বেশি ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনের বাইরে থাকলেও বিএনপির সাবেক এমপি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লার নিকট আত্মীয় পটলের ঈগল প্রতীকে বিএনপির কিছুসংখ্যক ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল থেকে ফিরোজ আল মামুন প্রার্থী হওয়ায় তিনি রেজাউল হক চৌধুরীর ভোটে ভাগ বসাবেন বলে দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটাররা জানাচ্ছেন।

দলের বিভিন্ন সূত্র মতে, সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপির সঙ্গে দলের বর্তমান কমিটির সিনিয়র নেতারা থাকলেও মাঠপর্যায়ে তেমন কর্মী নেই। আবেগের প্রতীক নৌকার প্রকৃত অনুসারীরাই মূলত বাদশাহর ভোট ব্যাংক। কিন্তু তাকে নির্বাচনে জিততে হলে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর মাঠপর্যায়ে বিশাল কর্মীবাহিনী রয়েছে। তিনি ১৪ সালের একই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও রিজার্ভ ভোট গড়ে তুলেছেন। রেজাউল চৌধুরীকে জয়ী করতে তার কর্মীরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারি প্রয়াত অাফাজ উদ্দিন আহমেদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। অাফাজ উদ্দিনের সেই নির্দিষ্টসংখ্যক ভোটের সঙ্গে এবারের নির্বাচনে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোটার ম্যানেজে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র নাজমুল হুদা পটল।

সংসদ সদস্য এডভোকেট আ. কা. ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া কোনো নির্বাচনই জমে ওঠে না। তবে যে যতই লাফালাফি করুক লাভ হবে না। নৌকা প্রতীকের সঙ্গে মানুষের অন্যরকম আবেগ জড়িয়ে আছে। নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। নৌকার বিকল্প নেই। দৌলতপুরের মাটিতে এমন কোনো শক্তি নেই, এমন কোনো ব্যক্তি নেই, এমন কোনো গোষ্ঠী নেই এবং এমন কোনো রাজনৈতিক দল নেই যারা নৌকার জয়যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই কর্মী। আমাকে পরাজয়ের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ভালোবাসা কীভাবে অর্জন করতে হয়, কীভাবে ভোটারদের অন্তরে জায়গা করে নিতে হয় এবং কীভাবে নির্বাচনে জিততে হয় তা আমার ভালোমতো জানা আছে। আমি এমপি হওয়ার আগে ও পরে সব সময়ই জনগণ আমার সঙ্গে ছিলেন এখনো জনগণ সঙ্গে রয়েছেন। জনগণের কল্যাণেই কাজ করে যাচ্ছি। আল্লাহ ছাড়া কেউ আমার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। ট্রাকের বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের জ্যেষ্ঠপুত্র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হুদা পটল বলেন, নিয়মিত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবেন বলে বিশ্বাস করি। ক্ষমতাকে পুঁজি করে যারা ধান্ধাবাজি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন জনগণ এবার তাদের বর্জন করবেন। ঈগল প্রতীক নির্বাচিত হলে বিশেষ কোনো ব্যক্তি এমপি হবেন না, এই এমপি হবেন দৌলতপুরের মানুষ সবাই। ক্ষমতাহীন, দুর্বল ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ক্ষমতার স্বাদ পৌঁছে দেয়া হবে। অন্যায়, দুর্নীতি, লুটপাটের কবর রচনা করা হবে। সবাই যাতে মাথা উঁচু করে সম্মান নিয়ে দাঁড়াতে পারেন দৌলতপুরকে এমন একটি উপজেলা হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

৩ লাখ ৮০ হাজার ২৮৭ ভোটারের এই সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থী ছাড়াও এবার অন্যান্য দল মিলে মোট ১০ জন প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অপর দলগুলোর প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার জামিল জুয়েল (লাঙ্গল), জাসদের শরিফুল কবির স্বপন (মশাল), ওয়ার্কার্স পাটির মজিবুর রহমান (হাতুড়ি), তৃণমুল বিএনপির আনিছুর রহমান (সোনালী আশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সাজেদুল ইসলাম (ছড়ি) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সেলিম রেজা (ডাব)। প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা, ট্রাক ও ঈগলের হাড্ডাহাড্ডি পর্যায়ে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সব রকম সম্ভাবনা বিদ্যমান দেখছেন দৌলতপুর উপজেলাবাসী। এ অবস্থায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কে পরবেন জয়ের মালা সেটাই এখন দেখার পালা।

ডিসেম্বর ২৭: ২০২৩ at :২১:৫৭(GMT+06) রুপ্র/আক/ঢাঅ/আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়