জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তমের রচিত গানে
একটি গান, তাতে আছে দেশপ্রেম ও উন্নয়নের বাণী। গানের সে বাণীতে বাংলার স্বাধীনতা ও বিজয়ের গৌরবের কথা, আছে উন্নয়নের কথা। বিজয় নিশান উড়ছে ওই/ শোনো একটি মুজিবরের থেকে/ যদি রাত পোহালে শোনা যেত/ চলো বাংলাদেশ/ তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর/ পূর্ব দিগন্তে/ নোঙ্গর তোলো তোলো/ কারার ঐ লৌহ কপাট-এসকল গান যেমন দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে তেমনি পদ্মাসেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন, সারাদেশের আইটি পার্ক, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প থেকে শুরু করে সে গানে তুলে ধরা হয়েছে দেশের সাম্প্রতিক সার্বিক উন্নয়নের কথা। ‘জয় বাংলা শেখ হাসিনার বাংলা’ শীর্ষক গানের পরিবেশনায় মাঠে থাকা দর্শক শ্রোতা যেন নতুন করে প্রেরণা পেলো দেশপ্রেমে বলীয়ান হতে, দেশের উন্নয়নে শামিল হতে। এছাড়াও মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীবৃন্দ।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তমের পরিকল্পনা ও আয়োজনে শনিবার টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জয় বাংলা কনসার্ট। স্বাধীনতা ও বিজয়ের কথা এবং গানের সাথে উন্নয়নের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে বলা হয় উন্নয়নের কথা। এমন আয়োজনে স্বতস্ফূর্ত সাড়া মেলে। দর্শক শ্রোতাদের ব্যাপক উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে টাউন হল মাঠ।
কাজী নাবিল আহমেদ আরও বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন। বক্তারা যশোর জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
‘জয় বাংলা শেখ হাসিনার বাংলা’ মৌলিক গানটি রচনা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তম। গানটির সুরকার আহনাফ তাহমিদ। গানের শিল্পী অমিতাভ দাস ভোলা, আহনাফ তাহমিদ, শামসুন্নাহার, অনন্যা রহমান, টুটুল বিশ্বাস। নির্দেশনা সাজেদুর রহমান অপু। নৃত্য পরিবেশন করেন মাধুর্য, দিশা, প্রদীপ, ভূমি প্রমুখ শিল্পীবৃন্দ। বাদ্যযন্ত্রে কিবোর্ড পল্লব, লীড গীটার টুটুল, অক্টোপ্যাড রাসেল, বেজ গীটার বিপু, পারকিউশন মিলন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী জাহিদুল জাদু।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।