কোয়াশাচ্ছন্ন এক শীতের রাত। পৌষের কনকনে ঠান্ডার মধ্যে যেন শীতের বুড়ি তখন সাদা চাদর মুড়ি দিয়ে ঢেকে ফেলেছে পুরো দুনিয়া। এই প্রতিকূল পরিবেশেও শ্রমজীবী ও অসহায় মানুষগুলো পরিবারের মূখে দুমুঠো আহার জোগাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এইসব বঞ্চিত নিরীহ অসহায় নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষগুলোর অন্তরাকুতি বোঝার মত বুঝি কেউ নাই। গভীর রাত, শালিখা আড়পাড়া বাজারে তখন ঘরমুখো মানুষ আপন আপন ঘরে ফিরে যে যার কাজে ব্যস্ত। স্টান্ডে দাড়িয়ে দু’পয়সার আশায় অসহায় জীর্ণ শীর্ণ শীতের পোষাক গায়ে একজন ভ্যান চালক যাত্রীদের প্রতীক্ষা করছে। হটাৎ একজন সাধারণ যাত্রী দেখে ভ্যানচালকের চোখে খুশির আভা। ব্যাভিব্যস্ত হয়ে পড়লেন এই বুঝি আমার যাত্রী একজন হলো। কিন্তু সেই কনকনে শীতের যাত্রী যেন হটাৎ দেবদূতের মত হয়ে এসে পরম মমতায় কম্বল জড়িয়ে দিলেন। তখনো তিনি বুঝতে পারছিলেন না তিনি একজন নির্বাহি কর্মকর্তা। হ্যা আমি শালিখা উপজেলার সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারীর কথা বলছি। যিনি দিনরাত অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে শালিকা বাসী তথা সাধারণ মানুষের সুখ- দুঃখের সঙ্গীর মত আপন করে বুকে জড়িয়ে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে ধর্ম বর্ণের গন্ডি পেরিয়ে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে। মা মাটি মানুষকে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সাথে আপন করে নিয়ে উপজেলা সকল অফিসারদের সাথে নিয়ে একটি শক্তিশালী টিম ওয়ার্ক করে যে কোন কাজ চ্যালেনেঞ্জের সাথে মোকাবেলা করে চলছেন।
এ প্রসঙ্গে শালিখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মুন্সী আবু হানিফ বলেন, “স্যারের আবির্ভাব সামান্য কিছুদিনের হলেও শালিখায় পা রেখে তিনি বহুদিনের সমস্যা সহজেই সমাধান করে তিনি বুদ্ধিদীপ্ত দৃঢ়চেতা ও চৌকস ব্যাক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তবে সব শেষে তিনি পরম মমতায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শোষিত বঞ্চিত খেটে খাওয়া মানুষের পাশে মিশে পরিচিত হয়েছেন একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবেই। আমি আমাদের নির্বাহি কর্মকর্তা, হরেকৃষ্ণ অধিকারীর স্যারের সামান্য সময়েই এমন বহু মানবহিতৈষী কাজের জন্য স্যারের উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করছি” সেই সাথে আমাদের শালিখা নিয়ে স্যারের যে নতুন নতুন উদ্ভবনী স্বপ্নবুনন রয়েছে সেটা যেন সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।