যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরবপাড়ের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার সকালে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এসময় অন্তত ১০টি ভ্রাম্যমান ফলের দোকান ভাঙ্গা হয়েছে। শহরের যানজট নিরসনে এমন অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসির ।
ভুক্তভোগী শওকত হোসেন জানান, আমরা গরীব মানুষ। পজিশন নিয়ে দোকান করার সময় টাকা আমাদের নেই। এখানে টোং ঘর করে ফল বিক্রি করতাম। কিন্তু কোন নোটিশ না দিয়েই আজ এসে দোকান ভেঙ্গে দিয়েছে।
জামাল শেখ বলেন, সবকিছুর দাম বৃদ্ধি। জীবন চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই দোকানের আয় দিয়েই সংসার চালাতাম। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।
অভিযানে নতুন ভৈরব হোটেলসহ ভৈরবপাড়ে অবস্থিত ছোট বড় অন্তত ১০টি দোকান ভাঙা পড়েছে। পূর্ব নোটিশ ছাড়া এমন অভিযানের কারণে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পূর্ব নোটিশ ছাড়া এমন অভিযানের কারণ জানতে চাইলে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসির বলেন, এর আগেতো তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা ওঠেনি। তারা বারবার আইন ভঙ্গ করার কারণেই এমন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসির বলেন, যেহেতু এখানে তারা অবৈধভাবে দখল করে ছিলেন তাই পুনর্বাসনের ব্যাপারে পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব না।
সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের জেষ্ঠ্য সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, যেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে, তার পাশেই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি বহুতল ভবন রয়েছে। সেটি একটি বাণিজ্য কেন্দ্র। যা উচ্ছেদ না করার কারণে নদের পাড়ে নবনির্মিত ওয়াকওয়ে’টি সম্পন্ন করা যায়নি। অথচ সারাদিনে ৫/৬শ’ টাকা লাভ করতে পারেনা এমন ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটি শ্রেফ অমানবিক। জিল্লুর রহমান ভিটু ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।