যেমন একজন মানুষ যখন গাড়ি চালায়, তখন সে একই সঙ্গে পাঁচটি বিষয়ে মনোযোগী থাকে। সে স্টিয়ারিং হুইল নিয়ন্ত্রণ করছে, সামনে কোনো গাড়ির সাথে লেগে যাচ্ছে কী না সেটা দেখছে, পায়ে ব্রেক নিয়ন্ত্রণ করছে, আবার পাশে বসে থাকা বন্ধুর সঙ্গে গল্পও করে যাচ্ছে, গন্তব্য চলে আসছে কী না, সেটাও খেয়াল করছে। তার মানে মানুষ চাইলেই পাঁচটি কাজ এক সঙ্গে করতে পারে। তাহলে সর্বোচ্চ ইবাদত নামাজে কেনো আমরা এমন মনোযোগ দিতে চেষ্টা করবো না।
প্রথমে আমরা কিরাত পড়বো। তাজভিদসহ তিলাওয়াত করার চেষ্টা করবো। সঙ্গে সঙ্গে আয়াতের অর্থ বুঝার চেষ্টা করবো। আবার এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কী বুঝাতে চেয়েছেন সেটাও চিন্তা করবো। অনুধাবনের চেষ্টা করবো। আবার কত রাকাত পড়ছি সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এভাবেই আমরা নামাজে আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে পারবো।
নামাজে প্রায় সময় রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়। তখন করণীয় হল, প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করা। অর্থাৎ যত রাকাত হয়েছে বলে প্রবল ধারণা হয় তত রাকাত ধরে নামাজ পূর্ণ করে ফেলা। প্রবল ধারণা অনুযায়ী আমল করলে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না।
হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, ‘তোমাদের কারো যদি নামাজের মধ্যে সন্দেহ হয়, ফলে সে জানে না যে এক রাকাত পড়ল না কি দুই রাকাত। তাহলে সে যেন এক রাকাত ধরে নিয়ে নামাজ পড়ে। আর যদি দুই রাকাত পড়ল না তিন রাকাত, তা না জানে তাহলে যেন দুই রাকাত ধরে নামাজ পড়ে। (এসব ক্ষেত্রে) সালাম ফেরানোর পূর্বে দুইটি সিজদা আদায় করে (অর্থাৎ সাহু সিজদা করে)।’ (তিরমিজি ৩৯৮)
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।