বাগান মালিকের দাবী ৩ গুল ফলন বৃদ্ধি
দেশে এমন পদ্ধতি সত্যিই দেখা মেলে না। অভিনব লাইট ইনডোর্স পদ্ধতি ব্যবহারে একদিকে যেমন অপরুপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে অন্যদিকে ফলন বৃদ্ধি করেছে প্রায় ৩ গুণ। সেই সাথে অসময়ে ড্রাগণ উৎপাদন করে দেশের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন মালিক। এমন ব্যতিক্রম উৎপাদন পদ্ধতি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই আসছে শতশত মানুষ।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, প্রযুক্তি যদি ভিন্ন হয় আর তা থেকে যখন আসে সফলতা তাহলে তো কথাই নেই। ড্রাগন চাষে অভিনব এক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার চারাতলা গ্রামের কৃষক বিপ্লব জাহান। শুধু নামে বিপ্লব নয় তিনি কাজেও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রমান দিয়ে ফেলেছেন। মাত্র ৩ বছর আগে চারাতলা গ্রামের মাঠের ১১ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলেন ড্রাগন বাগান। তাতে তিনি ড্রাগনের ফল আসার মৌসুমে ভালোই ফল পাচ্ছিলেন। এরপর তিনি সুদুর চীন থেকে বিদ্যুত সাশ্রয়ী ২৮০০ এলইডি লাইট এনে লাইট ইনডোর্স পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেন। যা অসময়ে স্বাস্থ্য সম্মত ড্রাগন ফল উৎপাদনে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। অন্যদিকে এই সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে লাইটগুলো জ্বলার পর তা অপরুপ সৌন্দর্যে রুপ নেয়। এমন ভিন্নতা দেখতে প্রতিদিন জড়ো হচ্ছে শতশত মানুষ। বৈচিত্রময় চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় গা ভাসাতে বিভিন্ন জেলা থেকেও আসছে দর্শনার্থী।
দর্শনার্থী আহমেদ নুহায়েদ আনসারী তাজ জানান, এমন সৌন্দর্য সত্যিই আগে দেখিনি। শোনার পর চলে এসে দেখি যে কেউ অবিভূত হতেই হয়।
বাগানের কর্মচারী মনিরুর ইসলাম জানান, যে সময় ড্রাগনের কোন চাষ থাকে না সেই অসময়ে এমন উৎপাদন সত্যিই অভিনব ঘটনা। আমরা এখানে প্রায় ১৫ জন কাজ করি। রাতে একজন নাইট গার্ড বাগান পাহারা দেয়।ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ড চারাতলা ড্রাগণ ফ্রুটস এন্ড এগ্রোর প্রোপাইটার বিপ্লব জাহান জানান, ইউটিউব দেখে মুলত এ পদ্ধতির খবর জেনেছি। তারপর শুরু করে ব্যাপক ফলন পাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে বড় অংকের টাকা লাগলেও লাভও ৩ গুণ। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা ও রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৯ঘন্টায় দুইদফা লাইটগুলো জ্বলে। শীতকালে দিন ছোট হয় তাই দিনের আলো কম হয়। ড্রাগণ বেড়ে ওঠে মুলত দিনের আলোয়, তাই এ পদ্ধতিতে চাষ করলে রাতেও ড্রাগনের সঠিক বেড়ে ওঠা স্বাভাবিক থাকে।
তিনি আরো জানান, বিপ্লবের এই বাগানে ৩৩ হাজার ড্রাগনের গাছ রয়েছে। যা থেকে তিনি গতবছর বিক্রি করেছেন ৩০ লাখ টাকার ড্রাগন। দেশের কোথাও এখন ড্রাগন ফলের উৎপাদান না থাকলেও তার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে ড্রাগন ফল। যা নিয়মিত ৩৫০টাকা কেজি দরে বিক্রিও হচ্ছে। এ বছর ৫০ হাজার মেট্রিকটন ড্রাগন উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।