মণিরামপুরে ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাবাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হাজরাকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম সোহাগ হোসেন। তাঁর মেয়ে মুন্নি খাতুন (১৬) নবম শ্রেণির ছাত্রী। আহত ওই ব্যক্তিকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির নানা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মুন্নি খাতুন স্থানীয় একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। প্রায় সময় রাস্তায় একা পেলে বিভিন্ন ভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করে একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মুহিবুল্লাহ হোসেন (২০)। গত বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীর বাবা সোহাগ হোসেন উত্ত্যক্তর প্রতিবাদ করতে বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে গেলে। ধারালো দা দিয়ে মাথার ডান পাশে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রীর নানা আহম্মেদ শেখ বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মুহিবুল্লাহ হোসেন (২০) পিতা বিল্লাল হোসেন (৪৫) ও মাতা ফাতেমা খাতুন (৩৮)‘র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ছাত্রীর নানা আহম্মেদ শেখ বলেন, আমার নাতনি ৯ম শ্রেণির ছাত্রী প্রায় তাকে উত্ত্যক্ত করে, একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মুহিবুল্লাহ হোসেন। উত্ত্যক্তর বিষয়টি মুহিবুল্লাহ হোসেনের পরিবারকে বৃহস্পতিবার সকালে অবগত করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুহিবুল্লাহ হোসেনসহ বাবা বিল্লাল হোসেন ও মাতা ফাতেমা খাতুন আমার জামায়ের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো দা দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তখন আমিসহ আমার নাতনি ঠেকাতে গেলে আমাদের ও মারপিট করতে থাকে পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় আমার জামায় সোহাগ হোসেনের মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
স্কুলছাত্রী জানায়, স্কুলে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত মুহিবুল্লাহ হোসেন প্রতিদিনই তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন হুমকি দিত। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে, তার বাবা এর প্রতিবাদ করতে গেলে বাবাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, এ বিষয়ে মুহিবুল্লাহ হোসেনের অভিভাবকদের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও প্রতিকার মেলেনি। মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে আছি।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, ওই দিন রাতে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। পুলিশ অসহায় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তায় পুলিশ সব সময় প্রস্তুত আছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।