ইবি কর্মকর্তা সমিতির নেতৃত্বে টিপু-মুকুট

আগের সংবাদ

মুজিবনগরে মরিচের বস্তায় পাওয়া গেলো ৫ কেজি গাঁজা

পরের সংবাদ

কৃষি পণ্যের সিন্ডিকেটে অসহায় কৃষক-ক্রেতা

২০ টাকার ধনিয়া পাতা ১০ মিনিটে হয়ে যায় ১০০ টাকা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১১:৫৫ অপরাহ্ণ আপডেট: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ , ১১:৫৫ অপরাহ্ণ

কৃষি মানেই চ্যালেঞ্জিং এক পেশা। যেখানে উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত প্রতি ধাপেই পার করতে হয় নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ। সাধারণত শীতের মৌসুমে বছরের সব চেয়ে বেশি শাক সবজি উৎপাদন হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ধনিয়া পাতার। খাবারের স্বাদ বাড়ানো ও পরিবেশন দৃষ্টিনন্দন করতে এর জুড়ি নেই। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধনিয়া পাতার উৎপাদন ভালো হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়ায় ধনিয়া পাতার দাম কমে গেছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। যশোরের জেলার চূড়ামনকাঠি বৃহৎ পাইকারী বাজারের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন এই হাট থেকে সারাদেশে কৃষি পণ্য পাঠানো হয়।

সরেজমিনে বাজারের কাঁচা মালের আড়ৎ গুলো ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ধনিয়া পাতা বিক্রি করতে পারছেন সর্বোচ্চ ২০ টাকা কেজি দরে। কমিশন হিসাবে ৫ টাকা প্রতি কেজিতে রেখে আড়ৎদার বিক্রি করছেন ২৫ টাকায়। এইসব ধনিয়া পাতা শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় তরকারীর দোকানে চলে যায়।

এদিকে চূড়ামনকাঠি বাজারের তরকারী বিক্রেতা হারুন অর রশিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘যে দামে সবজী কেনা হয় সাথে খাজনা, জায়গা ভাড়া, বিভিন্ন চাঁদা দিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি করলে তাদের লাভ থাকেনা বললেই চলে।

চূড়ামনকাঠি গ্রামের কৃষক আব্দুল গনী জানান, ‘ধনিয়া পাতা চাষ করে, বাজারে নিয়ে এসে এই দামে বিক্রি করতে হলে আমাদের কিছুই থাকেনা। সরকার যদি একটু নজর দিতো তাহলে আমরা কৃষকরা বেঁচে যেতাম। এভাবে চললে কৃষি কাজ ছেঁড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে যে, ধনিয়া পাতা ২০ টাকায় কিনে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে তা বিক্রেতার কাছে পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে কাঁচা মালের আড়ৎ ও কমিশন এজেন্ট বিকাশ (ছদ্দনাম) জানান, বিভিন্ন দোকানদারের কাছে আমাদের অনেক টাকা বাকী পড়ে থাকে। আবার সকাল হলেই কৃষক পণ্য নিয়ে হাজির হয়। বিক্রেতাদের কাছের বাকি টাকা উঠানোর জন্য তাদের বেধে দেওয়া দামে আমাদের কৃষকের পণ্য বিক্রি করতে হয়। আবার কৃষকের পণ্য কম দামে হলেও সব বিক্রি করতে হয়। না হলে পরের দিন যেমন এই বাসি পণ্য কেউ নিতে চাইনা তেমনি কৃষক অন্য আড়তের দিকে চলে যায়। কৃষক না আসলে আমাদের জনের (মজুরী) আসবেনা। তাই আমরা সবাইকেই খুশি রেখে পণ্য বিক্রি করে দিয়ে সামান্য কিছু কমিশন পাই।

যশোরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “কৃষকের পাশে আছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। উৎপাদন বেশি থাকায় কৃষি পন্যের দাম কমছে। আমরা এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছি”।

ডিসেম্বর ১৪:২০২৩ : at, ২৩:৫০(GMT+06)আ.হা.

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়