পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরার শ্যামনগর অফিস ক্যাম্পাসের মধ্যকার প্রায় অর্ধ্ব শত গাছ কেটে সাবাড় করেছে দুই কর্মচারী। রেষ্ট হাউসের প্রয়োজনীয় জ্বালানী সরবারহ করতে চারজন শ্রমিক দিয়ে এক সপ্তাহ ধরে তারা এসব গাছ কাটে। কর্তনকৃত গাছের মধ্যে আম এবং কুলের মত ফলজ উদ্ভীদ ছাড়াও কড়ইসহ বৃহদাকারের কৃষ্ণচুড়া ফুল গাছ রয়েছে। গাছ কাটায় জড়িত তুষার বর্মন ও হরেণ বৈদ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগর অফিসে কার্য্য সহকারী এবং অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।
সরেজমিনে পৌঁছে দেখা যায় চারজন শ্রমিক দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পাউবো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে গাছ কাটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মগডাল অক্ষত রেখে কয়েক দশক পুরানো সেসব গাছের বড় বড় শাখা-প্রশাখা কাটা হচ্ছে। আবার দীর্ঘদিন ধরে হেলে থাকা কৃষ্ণচূড়া সহ কয়েকটি গাছ পুরোপুরিভাবে কেটে নিয়েছে সেসব শ্রমিক। গাছ কাটার কারন হিসেবে কর্মরত শ্রমিক কাতখালী গ্রামের ময়না গাজী জানান দৈনিক পারিশ্রমিক হিসেবে হরেণ বৈদ্য তাদের কাজে লাগিয়েছে। লোক দিয়ে ডেকে এনে অফিসের বিভিন্ন পাশ থেকে মোট তিনশত মন জ্বালানী কেটে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের।
গাছ কাটার নির্দেশ দেয়ার কথা স্বীকার করে হরেণ বৈদ্য জানান অফিসের কার্য্য সহকারী তুষারের নির্দেশে তিনি গাছ কাটার কাজ তদারকি করছেন। বিষয়টি ‘বড় স্যারেরা’ জানে বলেও তিনি দাবি করেন।
পাউবো’র শ্যামনগর অফিসের কার্য্য সহকারী তুষার বর্মন জানান কোন গাছ না, বরং বিপদজনকভাবে থাকা কিছু গাছের ডাল কাটা হয়েছে। পাউবো’র রেষ্ট হাউসে ষ্ট্যাফদের খাওয়া দাওয়ার কাজে এসব কাঠ প্রয়োজনীয় জ্বালানী করা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।