উপজেলায় অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজার নিম্নমধ্যবিত্তরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে শীতকালীন সবজির, উপজেলা শ্যামনগর বাজারে ব্যাপক হারে দাম বেড়েছে। ভারতীয় যে পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে বেড়ে গত সোমবার ১১ ডিসেম্বর ১৬০ থেকে ২০০টাকায় দাড়িয়েছে। রসুন ২১০ টাকা, অন্যান্য শীতকালীন সবজি ফুলকপি ৪০, কুমড়া ৪০, টমেটো ৬০, বেগুন ৫০, আলু ৫৫, কাঁচামরিচ ৪৫ টাকা।এদিকে, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্রেতারা। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, বাজারে লাগাম ছাড়া সকল শীতকালীন সবজির লাগাম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধিতে অসহায় হয়ে পড়েছে স্বয়ং সরকারি চাকুরিজীবিরাও।
অপরদিকে, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে শ্যামনগরের নকিপুর কাঁচাবাজারে অভিযান প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালিত হলেও কমছে না ও কাঁচা বাজারের মূল্য।
নকিপুর কাঁচা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বাদঘাট গ্রামের বৃদ্ধ নবি গাজী বলেন, শুক্রবার পেঁয়াজের দাম কম ছিল। কিন্তু ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি করলেও বিভিন্ন অজুহাতে হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীরা একযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। তবে অধিকাংশ ব্যাবসায়ীদের দাবী মৌতলা পাইকারি আড়ৎদার দাম বেশী ধরায় আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অনেকের দাবী।
নকিপুর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ঈমান আলী বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে অনেক ক্রেতাই বেশি করে পেঁয়াজ ক্রয় করে মজুদ করছেন। এসময় পেঁয়াজ আমদানিকাররাই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শ্যামনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে নকিপুর কাঁচাবাজারের তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে না পারেন, সেই লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।