৬ ডিসেম্বর ছিল যশোর মুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিজয় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টায় টাউন হল মাঠ থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি। লাল সবুজ বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনটির শুভ সূচনা করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। র্যালীটি শহরের ঈদগাহ ময়দান, চিত্রার মোড় হয়ে দড়াটানা দিয়ে বকুলতলা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ প্রাই দুই হাজার মানুষ অংশ নেয়।
র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, বৃহত্তর যশোর জেলার বিএলএফ প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরি সভাপতি ও বিএলএফ উপ প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.এইচ.এম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, যশোর সরকারি এম.এম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন (পিপিএম), শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার দাশ সহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন শিক্ষক শ্রাবণী সুর। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাস ও শিক্ষক আহসান হাবিব পারভেজ।
উল্লেখ্য, যশোরেই প্রথম উঠেছিল বিজয়ী বাংলাদেশের রক্ত সূর্যখচিত গাঢ় সবুজ পতাকা। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের দিনটির মধ্যভাগে যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকবাহিনীরা। প্রথম শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।