যশোরের মনিরামপুরে সরকারি ইটে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তার বাড়ির রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের তত্ত্বাবধানে রাস্তাটির সংস্কার কাজ চলছে । উপজেলার সুবলকাটি গ্রামে পুলিশের সাবেক সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) পঙ্কজ বিশ্বাসের বাড়ির ৩৩ মিটার (১০৮ ফুট) হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) সোলিং রাস্তার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের সুবলকাটি গ্রামে মুক্তেশ্বরী নদীর উপর সম্প্রতি ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মিত হয়েছে। এখন সেতুর দুই পাড়ে রাস্তায় ইটের সোলিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাড় সংলগ্ন রাস্তার উত্তরপাশে পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা পঙ্কজ বিশ্বাসের বাড়ি। সরকারি রাস্তা থেকে তাঁর বসত ঘরে উঠতে ১০৮ ফুট ব্যক্তিগত পথ রয়েছে। সে পথ খুঁড়ে ইট দিয়ে হেরিং বন বন্ড সোলিং করার জন্য পথে বালি ফেলা হয়েছে। পথের দুই পাশে ছোট ছোট স্তুপে রাখা হয়েছে নতুন ইট।
খোঁজ নিতে জানা গেছে, নতুন ইটগুলো সরকারি টাকায় কেনা। সরকারি টাকায় শ্রমিক খাটিয়ে পঙ্কজ বিশ্বাসের বাড়ির সামনের সরকারি রাস্তা থেকে বসত ঘরে ওঠার ব্যক্তিগত পথ সংস্কারের কাজ চলছে।
পঙ্কজ বিশ্বাস বলছেন, দুই বছর আগে সেতুর কাজ শুরু করার সময় আমার বসত ভিটা থেকে কিছু জমি সরকারি রাস্তায় চলে গেছে। তখন বিভিন্ন দপ্তরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করে ফল পাইনি। পরে ঢাকা থেকে সেতুর এক প্রকল্প কর্মকর্তা সরেজমিন কাজ দেখতে সুবলকাটি আসেন। তখন তাকে বিষয়টি জানালে তিনি স্থানীয় এলজিইডি কর্মকর্তাকে আমার বাড়ির পথ ইটের সোলিং করে দিতে বলেন। সেই অনুযায়ী ১০-১২ দিন আগে রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
সুবলকাটি এলাকায় সেতু নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কার কাজ দেখভাল করছেন উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সেতু দেখতে প্রকল্প কর্মকর্তা যখন সরেজমিন এসেছিলেন তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন পঙ্কজ বিশ্বাসের ঘরে ওঠার বাড়ির পথ সোলিং করে দিতে। আমরা সেতুর কাজের সাথে তাঁর বাড়ির পথ সংস্কারের জন্য ঢাকায় আলাদা প্রকল্প পাঠিয়েছি।
স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের সময় দুপাশের অনেকের জমি রাস্তার মধ্যে চলে যায়। পঙ্কজ বিশ্বাসের জমি রাস্তায় যাওয়ায় যদি তাঁকে বাড়ির রাস্তা করে দিতে হয় তাহলেতো সবাইকে সরকারি খরচে বাড়ির রাস্তা করে দিতে হবে।
মনিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদদ্যুৎ দাস বলেন, পঙ্কজ বিশ্বাসের বাড়ির জমি রাস্তায় ঢুকে গেছে। তিনি ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। আমরা টাকা দিতে পারিনি। এজন্য তাঁর বাড়ির পথ ইটের সোলিং করে দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।