বিয়ের আসর থেকে বর চলে যাওয়ার ঘটনায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুলনার পাইকগাছায় মিতু মন্ডল (১৯) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত তরুণীর বাড়ি উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পাইকগাছা থানা পুলিশ। এঘটনায় মৃত্যুর প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে।

নিহত মিতু মণ্ডলের বাবা ঠাকুরদাশ মণ্ডল জানান, ‘তার মেয়ের সঙ্গে বটিয়াঘাটা উপজেলার কায়ুমখালীর কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে সুদিপ্ত মণ্ডলের (২২) গত সোমবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। ছেলে মেয়ের বাড়ি বিয়েতে সঠিক সময় না আসায় লগ্ন পেরিয়ে যায়। পরের লগ্নে বিয়ে দিতে চাইলে ছেলের বাবা রাজি হননি।

পরে ছেলের বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে বিয়ের আসর থেকে চলে যায়। মেয়ে সেই থেকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে। এই কারণে গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলে পড়ে। তাকে নামিয়ে পাইকগাছা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার গলায় রশি পেঁচিয়ে একটি মেয়ে আত্মহত্যা করে। তার মরদেহ সুরতহাল শেষে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত্যুর প্ররোচনায় শনিবার বরের বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল ও বর সুদিপ্ত মণ্ডলের নামে থানায় মামলা করেছেন মেয়ের বাবা।