সাতক্ষীরার বল্লী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রুবেল খান জানান, প্রধান শিক্ষক মুনছুর আলী ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে শহীদ মিনার বানানোর নাম করে প্রায় অর্ধ লাখ টাকার গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট ও ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে শহিদ মিনার তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ থাকলেও দেখা গেছে স্কুলের পরিতক্ত ঘরের ইট নিয়ে শহিদ মিনার তৈরি করা হচ্ছে।
স্থানীয় আবদুল গফুর, ভ্যান চালক রিপন, কামরুজ্জামান বলেন, পরিবেশ, বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা বেআইনি। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মুনছুর আলীর বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অত্র প্রতিষ্ঠানের আয়া বলেন, ভালো কাজ করলে কিছুটা অনিয়ম করতেই হয়। বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি নিতে গেলে বছরের পর বছর ঘুরতে হতো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, বল্লী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। অফিসিয়াল অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।