মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সিনেমা ও নাটক নির্মাণের সঙ্গে জড়িত। কদিন আগেই এই নির্মাতা নাম লিখিয়েছেন অভিনয়ে। নিজের নির্মিত সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’তে অভিনয় করেছেন তিনি।
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টায় দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমাটি। এ উপলক্ষে মুক্তির দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী হয়।
সেখানে সিনেমাটি দেখতে একঝাঁক অভিনয়শিল্পী-নির্মাতাসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষজন হাজির হয়েছিলেন। সিনেমাটি দেখার পর সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিশা ও ফারুকী।
সিনেমায় প্রথমবার অভিনয় করা নিয়ে মিশ্র মনোভাব ফারুকীর। তিনি বলেন, অনেক দিন তো কাজ করছি। কখনো ভাবিনি অভিনয় করব। সেটাও করা হয়ে গেল। ফলে এক ধরনের সংকোচ ভাব তো আছেই। একই সঙ্গে উত্তেজনাও কাজ করছে। নিজেদের জীবন থেকে গল্প বের করার মধ্যে একটা দুর্বলতা আছে। কিন্তু হৃদয় খুঁড়ে বেদনা বের করে আনাই তো শিল্পীর কাজ।
ফারুকী আরও বলেন, নিজের সময়টার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিই বা করার আছে। আমরা এখানে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। বাবা-মা হিসেবে আমরা বিশেষ কেউ নই। সব বাবা-মায়ের গল্পই এক। সন্তানের জন্য সব বাবা-মায়েরই স্পেশাল ত্যাগের গল্প আছে, আনন্দের গল্প আছে, বিব্রতকর গল্প আছে, এই ছবিটা যদি তাদের সেসব অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয়, তাহলেই আমরা খুশি হব।
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি ইলহাম হওয়ার পর আমার প্রথম কাজ। রাইটার হিসেবে আমার প্রথম লেখা। ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়-এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে।
তিশা আরও বলেন, আর যেকোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল। তাই সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি আমার জন্য অনেক স্পেশাল। এই সিনেমা নিয়ে যদি আরও কিছু বলতে হয়, তাহলে আমি ছোট্ট করে বলব, এই সিনেমাটা হচ্ছে সব সন্তানের প্রতি তার মা-বাবার অনুভূতির উপহার।
ফারুকী ও তিশার সঙ্গে এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবনসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।