সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ৩৭ জনের মনোনয়ন দাখিল

আগের সংবাদ

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

পরের সংবাদ

এবার চালের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে কঠোর হোন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩ , ১১:০২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ডিসেম্বর ১, ২০২৩ , ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

বাজারে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এমতাবস্থায় চালের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। আলু, ডিম, পেঁয়াজ ও চিনির পর এবার চালের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। হরতাল-অবরোধের দোহাই দিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। অথচ তথ্য বলছে, সরকারের গুদামে চালের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে। পাশাপাশি মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কোনো সংকট নেই। এরপরও অস্থির হয়ে উঠছে পণ্যটির দাম।

গতকাল বাজারভেদে মোটা চালের কেজি ৫০ থেকে ৫৪, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ এবং সরু চালের কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিল মালিকদের কারসাজিতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে সরু ও মোটা চালের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। গরিবের চাল ব্রি ২৮-এর দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা। একই অবস্থা মাঝারি মানের চালেরও। শুরু হয়েছে রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই কাজ। নতুন ধান বাজারে বিক্রি করা শুরু করেছেন কৃষকরা। তবে চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি।

ধান কাটার মৌসুম এলেই মিলাররা চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায়। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। ধান-চালের যথেষ্ট মজুত থাকলেও সরবরাহ নেই, হরতাল-অবরোধসহ নানা অজুহাত তারা দাঁড় করাচ্ছে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিম্নবিত্তের মানুষ এবং যাদের আয় সুনির্দিষ্ট। যাদের নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা নেই এবং যারা নির্দিষ্ট বেতন পান তারাই বেশি নাজুক অবস্থায় পড়েন। জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর চাল, গম ও ভুট্টার উৎপাদন ৩ কোটি ৯০ লাখ টনেরও বেশি। এ পরিমাণ উৎপাদনে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ার কথা নয়।

আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত; বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষকে প্রচুর পরিমাণে ভাত খেতে হয় শুধু শর্করার চাহিদা পূরণের জন্য নয়, তাদের আমিষেরও একটা বড় অংশ আসে ভাত থেকে। তাই চালের দাম যেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয়সাধ্যের সীমা অতিক্রম না করে, সরকারকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়। কিন্তু সরকার দক্ষভাবে ব্যবসায়ীদের তদারকি করতে পারছে কিনা, সে প্রশ্ন সামনে আসছে। সরকারকে চালের বাজার স্বাভাবিক রাখায় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে। ভাঙতে হবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। অতীতেও আমরা লক্ষ করেছি কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এটাও লক্ষ করা গেছে, বহু মিলার সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। এমনকি ধানের মৌসুমেও চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়। কাজেই চালসহ নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করে তুললেও বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা একেবারেই দৃশ্যমান নয়। চালের দাম কেন বেড়েছে, তা তদারকি করা হোক। কোন পর্যায় থেকে দাম বৃদ্ধি হয়েছে, তা দেখা হোক। এ সময় অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানোর তথ্য পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।

ডিসেম্বর ০১: ২০২৩ at :১০:৫৮(GMT+06) রুপ্র/আক/ঢাঅ/আহা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়