নড়াইলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন
রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন,‘ভাঙ্গা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া পর্যন্ত পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজের নির্মান কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন মাসের আগেই সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর ৮৪ ভাগ নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মান কাজ পরিদর্শন করে আমি খুব খুশি।’ শুক্রবার দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়ায় নির্মানাধীন রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল হাসান, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন সহ স্থানীয় প্রশাসন, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও সেনা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী গ্যাংকার যোগে (রেলের একটি কার) ভাঙ্গা থেকে নড়াইলের লোহাগড়া পর্যন্ত নির্মিত রেল লাইন ও নির্মানাধীন বিভিন্ন রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটি দু’টি ফেইজে বিভক্ত। প্রথম ফেইজে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ফেইজে ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোরের সিঙ্গিয়া জংশন পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের প্রথম দিকে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ফেজের এ অংশের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল লাইনে থাকবে মোট ১০টি স্টেশন। এরমধ্যে নতুভাবে নির্মিত হচ্ছে ৭টি (নগরকান্দা, মহেষপুর, মকসুদপুর, লোহাগড়া, নড়াইল সদর, জামদিয়া ও পদ্মবিলা) স্টেশন। এছাড়া রয়েছে ৩১টি ব্রিজ, ৮৯টি কালভার্ট এবং ৮৪টি আন্ডারপাস, যার নির্মান কাজ সম্পন্নের পথে। সেনাবাহিনীর ৩টি ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের নির্মান কাজ তদারকি করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।