ভালো কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচারের শিকার বাংলাদেশিদের মধ্যে ৪২ জন কিশোর, কিশোরীকে পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থ্যাদের মাধ্যমে উদ্ধারের পর ফেরত পাঠিয়েছে ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন।
আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে এরা ভারতের ২৪ পরগনার ধ্রূব আশ্রম,কিশোলয়া হোম ও শুকণ্যা হোম নামে ৩টি মানবাধিকার সংস্থার আশ্রয়ে ছিল।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ট্রাভেল পারমিট আইনে এসব বাংলাদেশিদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এসময় সেখানে কলকাতা নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তা,বিজিবি,বিএসএফ,পুলিশ,মানবাধিকার সংস্থ্যা ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থ্যার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বাড়ি যশোর,সাতক্ষীরা,কক্সবাজার,নওগা,চট্রগ্রাম,যশোর,ঢাকা,বাগেরহাট,খুলনা ও পটুয়াখালি জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে।
মানবাধিকার সংস্থ্যা রাইটস যশোরের তথ্য ও অনুসন্ধ্যান কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন জানান, ভাল কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে যায়। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলে পাঠায়। পরে আইনী সহয়তা দিতে ভারতীয় একটি মানবাধিকার সংস্থ্যা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে হেফাজতে নেয় । দেড় বছর দুই বছর পর দুই দেশের সরকারের সহযোগীতায় ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের সনাক্ত করে আইনী সহয়তা চাই দেওয়া হবে বলে জানান মানবাধিকার সংস্থ্যার কর্মকর্তা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, ফেরত আসা বাংলাদেশিদের আইনী সহয়তা ও পরিবারের কাছে পৌছে দিতে বাংলাদেশি ৩টি মানবাধিকার সংস্থ্যা ফেরত আসা কিশোর,কিশোরীদের গ্রহন করেছে। এদের মধ্যে জাস্টিস এন্ড কেয়ারের হেফাজতে নিয়েছে ১৪ জন,বাংলাদেশ মহিলা আইনজিবী সমিতির হেফাজতে ৯ জন ও রাইসট যশোরের কাছে আছে ১৯ জন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।