বেড়েছে রাজস্ব আয়
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কারনে বেনাপোল চেকপোষ্টে কাস্টমস এর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি সহ পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন মাসে এ পথে ভারত গমন যাত্রীদের নিকট থেকে ভ্রমন কর ও স্পট ট্যাক্স থেকে সরকারের ২৬ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৩ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এসময় ২৫২৪ টি ডি এম (আটক মামলা) হয়েছে। চেকপোষ্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান ও হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে সঠিক তত্ববাধানের কারনে ঈর্ষনিয় রাজস্ব আয় হয়েছে সরকারের। সেই সাথে ভারত যাতায়াত বর্হিগমন ও আন্তগমন পাসপোর্ট যাত্রী সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল চেকপোষ্টে দেখা গেছে, সেখানে কর্মরত কাস্টমস এরআরও কাস্টমস সিপাইরা সুপার মোখলেছুর রহমান ও হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে অত্যান্ত সতর্কতার সাথে পাসপোর্টযাত্রীদের ল্যাগেজ তল্লাশির কাজ করে যাচ্ছে। কাস্টমস স্কানিংয়ে কোন অতিরিক্ত পণ্য ও আমদানি নিষিদ্ধ কোন পণ্য আসলে তা সরকারী কোষাগারে জমা করছে। এছাড়া ব্যগেজ রুলস অনুযায়ী যে পণ্য যাত্রীরা পায় তা তাদের দিয়ে দিচ্ছে। তবে কোন পণ্য যদি স্পট ট্যাক্স দিয়ে কোন যাত্রী নিয়ে যেতে চায় তাও সোঁনালী ব্যাংকে সরকারী রাজস্বখাতে এস এস কোড অনুযায়ী জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে তার আনিত পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগের ন্যায় এখানে কোন বহিরাগত (দালাল) ও প্রবেশ নিশেধ। পাসপোর্ট যাত্রীদের পণ্য পারাপারের জন্য কোন বহিরাগত যাতে প্রবেশ করতে না পারে তারা জন্য ও রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
চেকপোস্ট কাস্টমস এর উচ্চমান সহকারী লিংকন হাসান বলেন, ইতিপুর্বে এত পণ্য ডিএম (আটক) হয়নি। বর্তমান সুপার ২ জন ও ৮ জন কাস্টমস এ,আরও (রাজস্ব সহকারী) সততা ও দৃড়তার সাথে কাজ করায় চেকপোষ্ট কাস্টমস এর সফলতা অর্জিত হয়েছে। এখানে রয়েছে কাস্টমস এ আরও কাজী নাইম উদ্দিন, নুর-ই আলম, দিদারুল আলম ফারুকী, সাবেরা শারমীন, সুমনা হক এ্যানি, আবু ইউসুফ, শহিদুল্লাহ, আনিছুর রহমান।
গত তিন মাস এসব অফিসার বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্মমস তল্লাশি কেন্দ্রে যোগদানের পর ২৫ কোটি ৭০ হাজার ৬৪ হাজার টাকার ভ্রমন কর এবং স্পট ট্যাক্স থেকে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৩ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। মোট ২৬কোটি ৭৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৩ টাকা। যা পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যেমে আসা রাজস্ব আয়ের রেকর্ড। এছাড়া একই সাথে ২৫২৪ ডিএম ( আটক মামলা) হয়েছে। আগত যাত্রীরা সরকারের রাজস্ব দিয়ে ওই সকল পণ্য খালাস করে নিলে আরো কয়েক কোটি টাকা শুল্ক আদায় হবে। আটককৃত পণ্যর মধ্যে রয়েছে শাড়ী, থ্রিপিচ, কসমেটিক্স পণ্য, কম্বল, প্রেসার কুকুর, রাইস কুকার, ওষধ সহ নানা ধরনের পণ্য।
খুলনার পাসপোর্টযাত্রী রেহেনা আক্তার বলেন, বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত গমনে এখন সাচ্ছন্দবোধ করছি। কারন এর আগে এ পথে নানা ভাবে হয়রানি হতে হতো। এখন চেকপোস্ট দিয়ে আসলে তাদের কাছে যে কেনা কাটা থাকে তার জন্য কোন ঘুষ দিতে হয় না। তারা স্কানিংয়ে পণ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে। তবে যার কাছে বেশী পণ্য থাকে তাকে ডেকে ল্যাগেজ খুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার আলমগীর হোসেন ও তার সাথে ভারতে ভ্রমণ এর কয়েকজন বেনাপোল চেকপোষ্ট এ প্রতিনিধিকে জানায় তারা সাধারনত ভারত এর সাথে ব্যবসা করে। তাদের ক্রয়কৃত পণ্য এলসির মাধ্যেমে আনে। আর অনেক সময় ভারত থেকে এদেশে স্যাম্পল নিয়ে আসতে হয় মার্কেট যাচাই এর জন্য। এর আগে হয়রানির শিকার হয়েছি। বর্তমানে যে সব অফিসার আছে তাদের বিষয়টি বুঝালে তারা যাওয়ার অনুমতি দেয়।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্মটস সুপার মোখলেছুর রহমান ও হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের কাজে বেনাপোল স্থল বন্দর কাস্টমসে পোষ্টিং দেওয়া হয়েছে। এ পথে দেশী বিদেশী অনেক পর্যটক যাতায়াত করে থাকে। রাষ্ট্রের মান সন্মান মর্যদা রয়েছে বেনাপোল সীমান্তের ভারত থেকে প্রবেশ ও যাওয়ার এ ফটকে। যার জন্য এখানে অত্যান্ত সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়। কোন যাত্রী যাতে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার না হয় তার জন্য সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ডিউটি করতে হয়। তারা আরো বলেন, এ পথে ভারত গামী অসংখ্যা যাত্রী যাতায়াত এর ফলে অনেক সময় তাদের ব্যাগেজ রুলের অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে আসে। এসব পণ্য আটক করে ওই সব যাত্রীদের ট্যাক্স দিয়ে নেওয়ার জন্য মেমো দেওয়া হয়। এসব যাত্রী পণ্য না নেওয়ায় চেকপোষ্ট কাস্টমস এর গোডাউনে জয়াগা না থাকার কারনে গেষ্টরুমে ও নিজেদের অফিস কক্ষে এসব পণ্য রাখা হচ্ছে। এসব পণ্য নির্র্দিস্ট সময়ের মধ্যে খালাস করে না নিলে নিলামে ওঠানো হবে। নিলাম থেকে সরকারের রাজস্ব আসবে কয়েক কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।