পিতা গরীব চায়ের দোকানদার হওয়ায়
পিতা গরীব চায়ের দোকানদার হওয়ায় পছন্দের স্কুলে ভর্তি হওয়া হলোনা সাদিয়ার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরের এম এল স্কুল মোড়ের চা দোকানী আজিজুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক সাদিয়ার সাথে। আর ঘটনাটি ঘটিয়েছেন পৌর সদরের মোবারকপুর গ্রামে অবস্থিত ঝিকরগাছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আহসান কবীর। আজিজুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে সাদিয়া এবার ঝিকরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। তার ইচ্ছা সে মোবারকপুর গ্রামে অবস্থিত ঝিকরগাছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। এই উদ্দেশ্যে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মেয়েকে নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুমে গিয়ে মেয়েকে ভর্তি করার আবেদন জানাই। এসময় প্রধান শিক্ষক প্রথমেই আমার পরিচয় এবং পেশা জিজ্ঞেস করেন। চা দোকানী শুনে প্রধান শিক্ষক সাফ বলে দেন আমাদের ভর্তি শেষ এখন আর ছাত্রী ভর্তি করছিনা। তারপরও আকুতি জানালে মেয়েকে দুটি বাক্য বাংলায় লিখতে বলেন। সেই দুটি লিখলে প্রধান শিক্ষক ধমকের সুরে বাক্য দুটির ইংরেজি লিখতে বলেন। এসময় ভয়ে মেয়েটি কেঁদে ফেলে এবং লিখতে অসমর্থ হয়। মেয়ে কিছু পারেনা, তাকে ভর্তি করা যাবেনা একথা বলে প্রধান শিক্ষক রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি গরীব মানুষ, আমার পোশাক আশাক ভালোনা এটা দেখে হেডস্যার আমাকে একবার বসতেও বলেননি বরং দুর থেকে কথা বলে বিদায় করে দিলেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমি গরীব বলেই আজ আমার মেয়ে তার পছন্দের স্কুলে ভর্তি হতে পারলোনা। আমার যদি টাকা থাকতো তাহলে হয়তো মেয়েটাকে ঐ স্কুলে ভর্তি নিত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।