পাইকগাছায় মাদকসহ বিভিন্ন মামলার ৫ জন আটক

আগের সংবাদ

এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ছোঁয়ায় সাতক্ষীরা সদর

পরের সংবাদ

দেখার কেউ নেই!!

কালিগঞ্জে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির অত্যাচারে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৩ , ৯:২৮ অপরাহ্ণ আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২৩ , ৯:২৮ অপরাহ্ণ

সাতক্ষীরা জেলা কালিগঞ্জ উপজেলার আলহাজ্ব মতিউর রহমান (মতি) হাজীর বিল্ডিং এ অবস্থিত ফারইস্ট ইসলামী ইনসুরেন্স কোম্পানির কালিগঞ্জ জোনাল অফিস!! উক্ত অফিসের জোনাল ম্যানেজার শাহিনুর আলমের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উক্ত অফিসে কোন টাকা বা পলিসি হেড অফিস থেকে পাঠায় না । যে কারণে গ্রাহকরা টাকা পেতে হয়রানি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, গত ২৩ মে ২০০০ সাল হতে ঢাকায় হেড অফিস শুরু হয়। সেখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা গ্রাহকের মাধ্যমে আমানত গ্রহণ করা হয়। তা থেকে প্রায় ১০ লক্ষ গ্রাহকের মেয়াদ শেষ হলেও ২ হাজার ৭০ কোটি টাকা মীমাংসিত হয়েছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। বাকী গ্রাহকরা ৩ হাজার ৫০ কোটি টাকা বর্তমানে পাবে।

সে হিসেবে ২০০১ সাল থেকে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ অফিস শুরু হয়। বর্তমান কালিগঞ্জ অফিসে ১৩’শ ৭৮ সদস্যের ৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা আমানতের মেয়াদ শেষ হলেও হেড অফিস থেকে কালিগঞ্জ অফিসের কোন টাকা গ্রাহক পাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা কালিগঞ্জ অফিসে বারবার ধরনা দিতে দেখা গেছে। একদিকে যেমন তারা দারুন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।

উল্লেখ্য যে, মেয়াদ শেষ হয়েও দু’বছর শেষ হলো অথচ কালিগঞ্জ অফিসের গ্রাহকরা নির্ধারিত টাকা পাচ্ছে না। গ্রাহক হয়রানি কালিগঞ্জ অফিসের যেন একটা নিয়মতান্ত্রিকে পরিণত হয়েছে।ড্রাইভার এবাদুল ইসলাম এবং কালিগঞ্জ এম.আর কাউন্টারের ম্যানেজার আনসার আলী জানান, আমি দুইটা বীমার টাকা পাবো মেয়াদ শেষ হয়ে দুই তিন বছর হলো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন টাকা পেলাম না। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না।তারালী ইউনিয়নের কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কালিগঞ্জ অফিস থেকে মাঠ পর্যায় তাদের কর্মী দিয়ে এখনো এলাকার অসহায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছে।

হেড অফিসের কিছু বড় বড় স্যার কতৃক যোগযাজগে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে বলে এ প্রতিনিধির কাছে অকাপটে স্বীকার করে কালিগঞ্জ অফিসের জোনাল ম্যানেজার শাহিনুর আলম বলেন, গ্রাহকদের টাকা পেতে আরও ৩/৪ বছর লেগে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমি নিজেই ১১ মাস বেতন পায় না।

অফিস ভাড়া এবং খরচ কে দেয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হেড অফিস বহন করে। তাহলে আপনি বেতন পান না কেন?? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলছে ভিন্ন কথা। কালিগঞ্জ অফিসের সকল স্টাফরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়ে যাচ্ছে। এটি তাদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। শাহিনুর আলম একটা মিথ্যুক, ঠকবাজ এমন অভিযোগ করেছেন অনেকে।

কালিগঞ্জ অফিসের এমন দুর্নীতি এবং কারসাজির অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ (আইডিআরএ) ঢাকা’র প্রধান কার্যালয়ের (অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগ-২) অনু বিভাগের কর্মকর্তা শামীমা আখতার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ টি অবশ্যই গ্রহণ করা হবে এবং তদন্ত করা হবে। আগামীকাল অফিস টাইমে অভিযোগ টি দেওয়া জন্য অনুরোধ করেন।এ বিষয়ে গ্রাহকরা কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নভেম্বর ১৮, ২০২৩ at :২১:২৫(GMT+06) রুপ্র/আক/ঢাঅ/আহা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়