মামলা না নেওয়ায় লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ
মহেশপুরে কলাই ক্ষেতে ঘাস কাঁটতে নিষেধ করায় লিটন হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উছেঠে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মারপিটের পর রাতে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। লিটন উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আজিজুল হোসেনের ছেলে।
এদিকে পুলিশ মামলা না নিলে লাশ নিয়ে শনিবার বিকালে থেকে রাত পর্যন্ত থানার সামনে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা জানান, সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য রেহেনা খাতুনের স্বামী আহম্মদ আলী ও তার ছেলে রিহাব, আব্দুল মালেক ও তার ছেলে স্বাধীন দলবল নিয়ে লিটন হোসেনকে বেধরক মারপিট করে গুরুত্বর আহত করেন। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশপুর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নিলে রাতেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে মহেশপুর থানা পুলিশ কোন প্রতিবেদন না পাঠালে পর দিন দুপুর পর্যন্ত ওই লাশের ময়না তদন্ত করতে রাজি হয়নি যশোর সদর হাসপাতাল। পরে বিকালে লাশ ফেরত নিয়ে এসে মহেশপুর থানার সামনে হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে প্রতিবেশী জাকির হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬টা পার হলেও পুলিশ মামলা নেননি। তবে প্রয়োজনে লাশ রবিবার সকালে ঝিনাইদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।
এব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।