যশোরের চৌগাছা উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামে আইয়ুব আলী খান ও ইউনুস খান হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকাল ৩টায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (তৃতীয়) আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টেঙ্গুরপুর গ্রামের আবজাল খানের ছেলে বিপ্লব ওরফে বিপুল ও মুকুল খান। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন তাদের অপর ভাই বিল্লাল খান ও তার স্ত্রী রূপালী বেগম।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর সর্দার ব্রিকসের বিপরীতে মুকুল হোসেনের দোকানে বসে চা পান করছিলেন ইউনুস খান। কাজের লোক ঠিক করা নিয়ে ইউনুস খানের সঙ্গে দোকানি মুকুলের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ইউনুসকে মারধর করেন মুকুল, বিল্লাল, বিপুল ও রূপালী বেগম। পরে ইউনুস বাড়িতে গিয়ে তার ভাই আইয়ুব ও ভাতিজা আসাদুজ্জামান খানকে জানালে তারা মুকুলের দোকানে এসে প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মুকুল তার ভাই বিপুল, বিল্লাল ও রূপালী মিলে আবারও ইউনুস, তার ভাই আইয়ুব এবং ভাতিজা আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে জখম করেন। তাদের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুস এবং আইয়ুবকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইয়ুব খানের মেয়ে সোনিয়া খান চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তদন্ত করে চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চার আসামির মধ্যে মুকুল ও বিপুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর দুই আসামি বিল্লাল খান ও তার স্ত্রী রূপালী বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
এদিকে, রায় শুনে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন দণ্ডিতদের স্বজনরা। দণ্ডিত মুকুলের স্ত্রী জলি বেগম বলেন, ‘মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতে যাবো।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।