সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে এ বছর মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়েছে হাফিজুর রহমান। ২০২২ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে ছিলো। তিন ভাইয়ের মধ্যে হাফিজুর সবার বড়। মা-বাবা, ভাইদের নিয়ে শহরের পালবাড়ি একটি বাসায় ভাড়া থাকে। বাবা করেন ফার্নিচায়ারের ব্যবসা। মা হলেন গৃহিণী।
এস.এস.সি পরীক্ষা পর্যন্ত তার পড়াশোনা এবং আব্বুর ফার্নিচারের ব্যবসার পরিস্থিতি বেশ ভালোই চলছিলো। হঠাৎ ২০২৩ সালের প্রথমদিকে তার মা ব্রেন স্টোক করে প্যারালাইসিস হয়ে একপাশ পড়ে যায়। সেই সময় তার আব্বুর ব্যবসার পরিস্থিতিও খারাপ হতে শুরু করে। এই অবস্থায় পরিবারের হাল ধরতে হাফিজুর এক বছর পড়াশোনা বাদ দিয়ে ঢাকায় ফুড পান্ডায় ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। পরবর্তীতে যশোরে এসে এই বছরই সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়েছে। পাশাপাশি প্যারালাইসিস মায়ের চিকিৎসার জন্য এক বড় ভাইয়ের সাথে মুজিব সড়কের বটতলা সংলগ্ন জায়গায় স্ট্রীট ফুডের দোকান চালাচ্ছে এবং পাশাপাশি গিটারের সুরে তার জীবণ সংগ্রামে পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলোকে বিমোহিত করছে।
হাফিজুরের বলেন, ‘নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। নিন্দুকরা উপহাস করবে, অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে পারলেই তো জীবণ সংগ্রামের আসল স্বাদ গ্রহণ করা সম্ভব’।
আসুন আমরাও হাফিজুরের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়। আমাদের একটু সহযোগীতা তাঁর জীবন সংগ্রামের নতুন দিগন্ত রচনা করবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।