ব্যালট বিপ্লবে নৌকা বিজয়ের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতকে চিরতরে বয়কট করার আহবান এমপি নাবিলের

আগের সংবাদ

নগরজীবনের আমূল পরিবর্তনের প্রত্যাশা

পরের সংবাদ

পরমাণু বিজ্ঞানী ভাভা'র মূত্যু রহস্য

আর বাংলাদেশে হালচাল

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৩ , ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২৩ , ১:২২ পূর্বাহ্ণ

হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা ভারতের একজন প্রসিদ্ধ নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক তথা প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপক ছিলেন। এছাড়া ভাভা ভারতের প্রসিদ্ধ শিক্ষা তথা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রম্বে এটমিক এনার্জি নামক প্রতিষ্ঠানেরও প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপক ছিলেন, যেটিকে বর্তমানে তাঁর নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। তবে উভয় প্রতিষ্ঠানই ভারতের নিউক্লিয়ার অস্ত্রের অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে কাজ চালিয়ে ছিল এবং সেখানে ভাভা স্বয়ং তত্ত্বাবধায়ক রূপে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ভারতের নিউক্লীয় পদার্থবিদ্যার উন্নতির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা ‘ভারতের নিউক্লীয় প্রোগ্রামের জনক’ হিসেবে পরিচিত। পরমাণু নিজে ক্ষুদ্রতম হলেও, বিষয়টি মোটেও ছোটো নয়। পরমাণু নিয়ে গবেষণা করা মানে এক বিরাট দায়িত্ব। ততদিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হাত ধরে মানুষ দেখে ফেলেছে পরমাণু বোমার শক্তি। আমেরিকার ক্ষমতাও সবার সামনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিজ্ঞানের মানচিত্রে উঠে এলেন সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের এক বিজ্ঞানী। ইতিমধ্যেই বিশ্ব থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন হোমি ভাবা। রয়্যাল সোসাইটির ফেলোও হয়েছেন। পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারের জন্যও বেশ কয়েকবার বিবেচিত হয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে তাঁর হাতে উঠে আসেনি সেই সম্মান। কেন? জানা নেই। অবশ্য তাতে কি কিছু যায় আসে ডঃ ভাবা-র! তিনি নিজের মতো কাজ করে গেছেন।

চলুন এবার বাংলাদেশের বর্তমান অবস্হার দিকে অল্প আলোকপাত করি।বাংলাদেশ আজ আর তলা বিহীন ঝুড়িনয়, বিগত ১২/১৩ বছরে ৬ প্লাস জিডিপি প্রবৃদ্ধির কারণে –  কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা ‘ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের’ মতে  বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।এর আগে আইএমএফ প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ ও ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ যা ৫০টি বৃহৎ অর্থনীতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশ পরমানু ক্লাবে ঢুকে গেছে। পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিএনপি’র নেতাদের নেতিবাচক মন্তব্য বিষয়টিকে পশ্চিমাদের শেখানো বুলি বলে সচেতন মহলের কাছে উৎবেগ প্রকাশ পায়।

১৯৬৫-৬৬ সাল- ভারতের স্বাধীনতার প্রায়১৮- ১৯ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছিল। একটু একটু করে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করছে দেশটি। নতুন দেশ, তার নতুন আশা, অনন্ত সম্ভাবনা। বিশ্বের মঞ্চে নিজের পরিচয় গড়ে তোলার চেষ্টা।৬৫-র অক্টোবর ভারতের প্রবাদপ্রতীম পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবা অল ইন্ডিয়া রেডিও’য় একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলে দেড় বছরের মধ্যেই পরমাণু বোমা ভারত বানিয়ে ফেলতে পারবে । ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুযারি এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বই-নিউ ইয়র্ক বোয়িং ৭০৭ বিমান ১১৭ জন যাত্রী নিয়ে হারিয়ে যায় মঁ ব্লাঁর চূড়ার কাছে। এই বিমানের যাত্রী ছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবা।তিনি কি খুন হয়েছিলেন? আর সেই ঘটনায় কি জড়িত ছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)? ’৬৬ সালের জানুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানটিতে চেপে ভিয়েনা যাচ্ছিলেন ভাবা, সেই বিমানে কি বোমা রাখা হয়েছিল? দুর্ঘটনা নয়? ওই বোমা বিস্ফোরণেই সুইজারল্যান্ডে আল্পস পর্বতমালার মঁ ব্ল্যাঁ-এ ভেঙে পড়েছিল ভাবার বিমান?২০০৮ সালে চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য বিশ্বের সামনে উঠে আসে। তথ্য বলতে একটি ফোনকল। যার একদিকে ছিলেন সাংবাদিক গ্রেগরি ডগলাস, অন্যদিকে ছিলেন সিআইএ’র অফিসার ও গোয়েন্দা রবার্ট ক্রাউলি।

ষাটের দশকে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন। সেই ফোনালাপেই পরমাণু বোমার মতোই বিস্ফোরণ ঘটান ক্রাউলি। যেখানে তিনি একপ্রকার স্বীকার করেই নিয়েছিলেন, এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১০১-এর ভেঙে পড়া কোনো দুর্ঘটনা নয়; পরিকল্পিতভাবেই সেটি ঘটানো হয়েছিল একটি বোমার সাহায্যে। এবং এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে বাইরে থেকে দেখে মনে হয় এটি দুর্ঘটনা।কিন্তু সিআইএ কেন এমন কাজ করেছিল? কারণ একজনই— ডঃ হোমি জাহাঙ্গির ভাবা। পরমাণু বোমার এত কাছে যখন পৌঁছে গেছে মানুষটি, তখন তো আমেরিকার একচ্ছত্র আধিপত্যও প্রশ্নের মুখে পড়বে।টেলিফোনে সিআইএ’র এক পদস্থ কর্তার সঙ্গে এক সাংবাদিকের কথোপকথনের রেকর্ড করা অংশের ভিত্তিতে এই দাবি করেছে ‘টিবিআরনিউজ ডট ওআরজি’ নামে একটি ওয়েবসাইট।

সেই টেলি-কথোপকথনের যে অনুলিপি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সিআইএ অফিসার ক্রাওলিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বুঝতেই পারছো, ষাটের দশকে আমরা ভারতকে নিয়ে খুব সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। ভারত ওই সময় যে শুধুই পরমাণু বোমা বানানোর তোড়জোড় শুরু করেছিল, তাই নয়; তড়িঘড়ি পরমাণু বোমা বানানোর জন্য শুরু করে দিয়েছিল কাজও। আর ওই সময় রাশিয়ার (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন) সঙ্গে খুব দহরম মহরম ভারতের…’’ সাংবাদিক ডগলাসের সঙ্গে ক্রাওলির টেলিফোনে কথাবার্তা চলার সময় সিআইএ অফিসার ভাবার প্রসঙ্গে ক্রাওলি বলেন, ‘‘বিশ্বাস করো, ওই লোকটা খুব ভয়ঙ্কর ছিল।পরমাণু বোমা নিয়ে লোকটা আমাদের কপালের ভাঁজ আরও বাড়ানোর জন্য যাচ্ছিল ভিয়েনায় একটি সম্মেলনে যোগ দিতে। তাই ওর বিমানে আগেভাগেই রাখা ছিল একটি বোমা…’’ পাশাপাশি ড্যানিয়েল রোশ নামে এক অভিযাত্রী দাবি করছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে তিনি এমন কিছু নমুনা পেয়েছেন যা মার্কিন সামরিক ফৌজের ।

তিনি ১৫ বছর ধরে দুর্ঘটনাস্থলে বারবার গিয়েছেন। সংগ্রহ করেছেন ছড়িয়ে থাকা নমুনা-নথি। বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হয়, জেনেভা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান চালকের ভুল বোঝাবুঝির জন্য বোয়িং ৭০৭ ক্র্যাশ করে৷ ভাবা-সহ সব যাত্রীর মৃত্যু হয়৷ রোশ-এর দাবি, ঘটনাটি মোটেই তা নয়। ওই বিমানের চালক ক্যাপ্টেন জো ডিসুজা খুবই দক্ষ চালক ছিলেন।

এ-ব্যাপারে তিনি মুম্বই এসে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন। ফরাসি পত্রিকা ‘লিঁয় কাপিতাল’-এ প্রকাশিত গ্রাফিক নভেলে ইঙ্গিত রয়েছে ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ওই বিমান দুর্ঘটনার উদ্ধারকাজ এবং তদন্তে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। কার্টুনিস্ট নিকোলাস ভিল্ড এই বিতর্কিত গ্রাফিক নভেল তৈরির জন্য সাহায্য নিয়েছেন ফাঁসোয়াজ রে আর তালিন তের মিনাশিও নামে দুই ফরাসি সাংবাদিকের। যাঁদের মত, সে সময় পরমাণু গবেষণায় ভাবা ভারতকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে বছর দেড়েকের মাথায় দিল্লির হাতে চলে আসত পরমাণু বোমা। পরমাণু গবেষণায় ফ্রান্সের সঙ্গে একাধিক চুক্তিও হয়েছিল ভারতের। যার নেপথ্যে ছিলেন হোমি ভাবা। ফলে জেনেভা যাওয়ার পথে মঁ ব্ল’র বুঁসো হিমবাহে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের ভেঙে পড়া স্রেফ দুর্ঘটনা নয়। ধরে নেওয়া যেতে পারে, উন্নত দেশগুলি চায়নি ভাবা তাঁর গবেষণায় সফল হোন।

গত ১২/১৩  বছরে বাংলাদেশের যে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে তা বেমালুম চোখ বুঁজে অস্বীকার করে চলেছে একদল মানুষ। বরং সুযোগ পেলেই সমালোচনা করতে কিন্তু ছাড়ছে না উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে বিএনপি জামাত ঘরনার লোকেরা।তাঁদের উদ্দেশ্যে ~ পাওলো কোয়েলহো ব্রাজিলিয়ান গীতিকার-লেখক এর “ডার্টি লন্ড্রি” অনুবাদ করার প্রয়াস…..”একটি যুবক দম্পতি একটি নতুন বাড়িতে উঠলো। পরদিন সকালে যখন তারা নাস্তা করছিলেন, তখন তরুণী তার প্রতিবেশীকে বাইরে ধোয়া কাপড় ঝুলাতে দেখেন।”ওই লন্ড্রি খুব পরিষ্কার নয়; সে জানে না কিভাবে সঠিকভাবে ধুতে হয়। সম্ভবত তার আরও ভালো সাবান পাউডার দরকার। “তার স্বামী চুপ করে তাকিয়ে রইলেন।যতবার তার প্রতিবেশী তার ধোয়া কাপড় শুকানোর জন্য ঝুলিয়ে দিয়েছে, তরুণী একই মন্তব্য করেছে। এক মাস পরে, মহিলাটি অবাক হয়েছিলেন লাইনে  সুন্দর পরিষ্কার ধোয়া কাপড় দেখে এবং তার স্বামীকে বললেন, “দেখুন, সে অবশেষে শিখেছে কিভাবে সঠিকভাবে ধোয়া যায়। আমি ভাবছি কে তাকে এটা শিখিয়েছে?”স্বামী উত্তর দিল, “আমি আজ সকালে উঠে আমাদের জানালা পরিষ্কার করেছি। “আর তাই আমাদের জীবনের সাথেও এ রকম হয় …অন্যদের দেখার সময় আমরা যা দেখি তা নির্ভর করে আমরা যে জানালা দিয়ে দেখি তার স্বচ্ছতার উপর। তাই অন্যদের বিচার করতে খুব তাড়াতাড়ি করবেন না, বিশেষ করে যদি আপনার জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি রাগ, ঈর্ষা, নেতিবাচকতা বা অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা দ্বারা আবৃত হয়।একজন ব্যক্তিকে বিচার করা সে কে তা নির্ধারণ করে না।  এটি নির্ধারণ করে আপনি কে।”

স্যাংশন (Sanction) এর বাংলা অর্থ নিষেধাজ্ঞা। এ বিষয়টি এখন বেশ আলোচিত। এ বিষয়ে আশাব্যঞ্জক উধাহরণ দিয়ে আজকের লেখাটি শেষ করি। ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করে দেয়। শুরুতে বাংলাদেশ বিপদে পড়লেও হয়েছে আশীর্বাদ। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এসে বাংলাদেশ গবাদি পশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গরুর মাংস রপ্তানিও শুরু করেছে। ২০২২ এ কোরবানির ঈদে গবাদি পশুর যে চাহিদা তার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত ছিল। সরকারি হিসাব বলছে সেবার কোরবানির জন্য ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার গরু-ছাগলের চাহিদা ছিল। কিন্তু প্রস্তুত ছিল এক কোটি ২৫ লাখ ২৪ হাজার।

লেখক-
সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যশোর জেলা শাখা।
সহ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যশোর।
সহ সভাপতি, উদীচী, যশোর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়