বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না

আগের সংবাদ

সড়কে বেপরোয়া কিশোর বাইকার

পরের সংবাদ

সিন্ডিকেট ভাঙতে এবার ভারত থেকে আমদানি হলো মুরগীর ডিম

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৩ , ১১:০০ অপরাহ্ণ আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২৩ , ১১:০০ অপরাহ্ণ

সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে ডিমের দামের উর্ধ্বগতি রুখতে ভারত থেকে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা ৭ টায় সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ঢাকার বিডিএস করপোরেশন প্রথম চালানে ভারত থেকে দুটি ট্রাকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিচ মুরগীর ডিম আমদানি করেছে। বন্দর থেকে এসব ডিম ছাড় করে ঢাকা থেকে সারা দেশে সরবরাহ করা হবে। আমদানি ও অনান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি পিচ ১০ টাকার মধ্যে বিক্রী সম্ভব হবে বলে সংশিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এদিকে ডিম আমদানিতে দেশে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজারে কম দামে কিনতে পারবেন আশা করছেন সাধারন ক্রেতারা।

বানিজ্য সংশিষ্ট সুত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে কমাস আগে নানান কারন দেখিয়ে দেশের বাজারে ডিমের দাম ৯ টাকা থেকে বাড়িয়ো ১৩ থেকে ১৪ টাকা বিক্রি করতে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। এতে পুষ্টি সমৃদ্ধ ডিম কিনতে না সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বাজার ব্যবস্থপনা নিয়ে ক্ষোভ জানান সাধারন ক্রেতারা। সরকার বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বাজার। সবশেষ বাধ্য হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। অবশেষে রোববার সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ পিচ ডিমের আমদানি হয়। এসব ডিমের আমদানি মুল্য ধরা হয়েছে ২৯৮৮ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশি অর্থে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতিপিচ ডিমের ভারতে কেনা মুল্য দাড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। ট্রাক ভাড়াসহ অনান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি পিচ ১০ টাকার মধ্যে বিক্রী সম্ভব হবে বলে সংশিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলেও মনে করছেন সংশিষ্টরা। মোট ১০ টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানি শর্তে বলা হয়েছে ডিম ভাইরাস মুক্ত থাকতে হবে।

সাধারন ক্রেত আলতাফ জানান, বেশি দামে ডিম কেনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন আমদানিতে বাজারে দাম কুমবে আশা করছি।
ডিম ছাড়কারি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এম ই এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি মহিদুল হক রুবাই জানান, ভারত থেকে প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০ পিচ ডিম আমদানি হয়েছে। পর্যায় ক্রমে ডিমের বাকি চালান খুব দ্রত বন্দরে আসবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়নের আন্তর্জার্তিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, সিন্ডিকেট করে সাধারন মানুষকে জিম্মি করছিল দূনীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। ডিম আমদানির ফলে দেশে যে সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছিল তা এখন ভাঙবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর প্রানি সম্পদ কোয়ারেন্টাইন অফিসের ইনচার্জ বিনয় কৃষনো মন্ডোল জানান, ডিমবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর সেটি ভাইরাস মুক্ত বা খাওয়ার উপযোগী কিনা পরীক্ষা করা হয়। পরে তা মানসম্পূর্ন হওয়ায় বন্দর থেকে ডিমের ছাড় পত্র দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়