এক ঘন্টার জন্য জেলা পরিষদের প্রতিকি সচিব হলেন ফারিয়া মল্লিক। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের যৌথ আয়োজনে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় । গার্লস টেকওভার বা নারীর ক্ষমতায়নে উদ্বুদ্ধ করতেই মূলত এ ধরনের আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।
এক ঘন্টার জেলা পরিষদ প্রতিকি সচিব ফারিয়া মল্লিক জানান, ‘আমি ঝিনাইদহ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। এনসিটিএফের ইয়েস গ্রুপের সদস্য। এ ধরনের আয়োজনের সাথে থাকতে পেরে খুবই আনন্দিত। রাষ্ট্রিয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে ১ ঘন্টার জন্য বসতে পেরে নিজেকে সৌবাগ্যবতী মনে করছি।
তিনি বলেন, ‘আমি এই ১ঘন্টায় একজন অসহায় কিভাবে রাষ্ট্রিয় সাহায্য পায় তা জানলাম। তাছাড়া, রাষ্ট্রিয় অবকাঠামোগত যেসকল উন্নযন করা হয় তাও জানার সুযোগ হলো। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক ফাইল দেখার সুযোগ হলো।
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা পারে না এমন কিছু নেই। সবই পারে। নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হওয়া দরকার। রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিও একজন নারী। আমরা যদি সুযোগ পাই তবে সবজায়গার সকল কাজই আমরা করতে পারি।
ঝিনাইদহ এনসিটিএফ’র ভলেন্টিয়ার ও সাউথইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তামান্না ইজাহান প্রেমা জানান, ‘নারী পুরুষ যদি একসাথে কাজ না করে তবে দেশ পিছিয়ে যাবে প্রতিনিয়ত। তাই সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ দিতে হবে। সুযোগ যদি না পাই তবে তো যোগ্যতা প্রমানই হবে না। তাই বলবো, নারীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা পরিষদের সচিব সেলিম রেজা জানান, খুবই সুন্দর একটি আয়োজন। পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে আসতে অবশ্যই এ ধরনের অনুষ্ঠান থাকতে হবে। তবেই নারী ও পুরুষ সমানভাবে দেশকে এগিয়ে নেতে পারবে। এ ধরনের আয়োজনে একটি নারী হাতে কলমে রাষ্ট্রিয় সকল কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হলো। তিনি জানালেন, কিভাবে রাষ্ট্র তার কাজ করে মানুষের কল্যাণে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।