ঢাকার একটি ক্লাবের অনুর্ধ-১৭ নারী ফুটবল দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মোহনা খাতুন। বিকেসএসপির প্রশিক্ষনেও ছিলেন কয়েকমাস। ঝুলিতে আছেন অসংখ্য পুরষ্কার। মোহনার প্রতিভা তুলে ধরে একাধিক গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে অনুর্ধ-১৭ মুজিবনগর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে মোহনার অবদান ছিল বেশ ভালো। হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। জেলা দলে সুযোগ পেয়েও কোচের সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকায় খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ হয়নি মোহনার।
মেহেরপুর সদর উপজেলা নারী ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন আয়ুব আলী। ক্ষমতা বলে তিনি জেলা দলেরও কোচ হিসেবে আছেন দীর্ঘদিন।
শুধু মোহনা একা না, জেলা দলে সুযোগ পেয়েও কোচের সেচ্ছাচারিতায় খেলা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা চ্যাম্পিয়ান দলের ৮ নারী ফুটবলারের। বঞ্চিতরা হলেন, প্রীতি খাতুন, খুশি খাতুন, শিলা খাতুন, মানসুরা আক্তার খুশি, মনিকা খাতুন, সানজিদা খাতুন ও নুপুর খাতুন।
খেলোড়ারদের অভিযোগ, কোচের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় মুজিবনগর থেকে শুধুমাত্র তামান্না খাতুন খেলার সুযোগ পেয়েছে। আর আমাদের সকল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ২৪ অক্টোবর খুলনায় যাওয়ার দিন আমাদের না নিয়ে কোচের পছন্দ মত মেয়ে নিয়ে খুলনায় চলে যান। সেখানে মাগুরা জেলা কাছে ১২ গোলে পরাজিত হয় মেহেরপুর।
বঞ্চিতদের মধ্যে মোহনা খাতুন জানান, সিলেক্টর লিটন আলী মুজিবনগর থেকে আমাদের ৮ জনকে সিলেক্ট করে জেলা দলের জন্য। সেখানে শুধুমাত্র কোচের সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকায় আমাদেরকে সিলেক্টের পরেও বাদ দেয়া হয়। এমনকি আমাদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগই করা হয়নি।
শিলা খাতুন, সানজিদা খাতুনসহ অনেকেই জানান, অনেক সপ্ন ছিল বিভাগীয় পর্যায়ে খেলে জয়লাভ করে মেহেরপুরকে তুলে ধরবো। কিন্তু খারাপ মনমানুসিকতার একজন কোচের কারনে আমাদের সপ্ন ভেঙে গেছে। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা আর কেউই ফুটবল খেলবো না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নারী ফুটবলার জানান, কোচর বিরুদ্ধে নারী ঘটিত অনেক অভিযোগ আছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার নারী ঘটিত অভিযোগ উঠেছিল। সুযোগ পেলেই সে গায়ে হাত দেয়।
এ বিষয়ে কোচ আয়ুব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। মুজিবনগর দলের কেউ আসেইনি। তাই বাধ্য হয়ে অন্য মেয়েরদের দিয়ে খেলানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে, ব্যাস্ত আছি বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।