বয়স কোনও বাধাই নয়, প্রমাণ দিলেন টুইঙ্কেল

আগের সংবাদ

শ্যামনগরে আল খিদমাহ ফাউন্ডেশনের কোরআন শরীফ বিতরণ

পরের সংবাদ

সবজি চাষে মণিরামপুরের ৫ সহস্রাধিক পরিবার স্বাবলম্বী

রূপান্তর প্রতিদিন

রূপান্তর প্রতিনিধি, রাজগঞ্জ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৩ , ৪:০৫ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২৩ , ৪:০৬ অপরাহ্ণ

যশোরের পশ্চিম মণিরামপুরের ঝাঁপা, হরিহরনগর, খেদাপাড়া, রোহিতা, মশ্মিমনগর ও চালুয়াহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ সহস্রাধিক পরিবার সবজি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ ৬ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে বছরের বারো মাস সবজি চাষ হয়ে থাকে বলে কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এখানকার কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অফিস। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম মণিরামপুরের চালুয়াহাটি ও মশ্মিমনগর ইউনিয়নের শাহপুর ও হায়াতপুর সবজি চাষের জন্য উপযোগী মাঠ। ১২ মাস সবজি চাষে উপযোগী এ দু’গ্রামের মাঠের পর মাঠ সবজির ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সবজি চাষিদের সঠিক পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হয়ে থাকে। এ দুই গ্রাম ছাড়াও রোহিতা, মশ্মিমনগর, চালুয়াহাটি, ঝাঁপা, হরিহরনগর ও খেদাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সবজি ক্ষেতগুলোতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, ঢেঁড়স, মুলা, লাউ, শিম, বরবটি, ক্ষীরা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, লালশাক, পালংশাক, কলা, বেগুন, শসা, মেটেআলু, ডাটা, পটল, ঝিংগা, উচ্ছে, কাকরোল, গাজর, চিচিংগা, কাঁচাঝাল, ওলসহ বিভিন্ন ধরণের বারোমাসি সবজি চাষ হয়।

বিভিন্ন রাসায়নিক সারের পাশাপাশি কৃষকেরা সবজি চাষে জৈব সার ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। শাহপুরের সবজি চাষি ইকবাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, রাহাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নুর ইসলাম, আতিয়ার রহমান, লুৎফর রহমান বলেন, বছরের বারো মাস বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে আমরা অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছি। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সরবরাহ করা হয়। বর্তমান সময়ে সবজির দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষকেরা। রাজগঞ্জ বাজার, শাহপুর জামতলার মোড়, বাগবাড়িয়া মোড়ে সপ্তাহের দুইদিন শাহপুর ও হায়াতপুর মাঠের কৃষকরা, তাদের উৎপাদিত সবজি পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ বাজারের বড় হাটবার। সেখানে কৃষকেরা সবজি পাইকারি ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে।

চালুয়াহাটি ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এসএম মারুফুল হক ও হাবিবুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজি চাষিদের সবধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া নতুন জাত ও নতুন ফসল স¤প্রসারণে কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে প্রর্দশনী প্লটও স্থাপন করা হয় বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, পশ্চিম মণিরামপুরের ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে শাহপুর, হায়াতপুর মাঠ সব ধরনের সবজি ও হরিহরনগর ইউনিয়ন পেঁপে চাষে বিখ্যাত। এছাড়া এই ছয় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে দৃষ্টি নন্দন সবজি চাষ হয়ে থাকে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে পাইকারি ব্যাপারীদের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে।

আইর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়