বিশ্বকাপে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচ দুই দলের জন্যই এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে টাইগারদের সেমিফাইনাল স্বপ্ন একপ্রকার শেষই বলা যায়। পরের ধাপে যেতে হলে লিগ পর্বের বাকি ৪ ম্যাচ শুধু জিতলেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর দিকেও। এমন সমীকরণ নিয়ে আজ নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ দিয়েই ‘সিটি অব জয়’ খ্যাত কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের স্বাদ পেতে যাচ্ছে কলকাতাবাসী। ৬৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মাঠে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
কলকাতায় বাংলাদেশ দলের অতীত রেকর্ড খুব একটা ভালো না। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ ম্যাচ খেলে বাজেভাবে হেরেছে। ২০১৯ সালের গোলাপি টেস্টে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি। তবে ইডেনে ৫০ ওভারের গেম খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই সাকিবদের।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নুরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯০ সালের এশিয়া কাপের একটি ম্যাচ খেলেছিলন। ৩৩ বছরের পুরোনো সে অভিজ্ঞতা কোনো কাজে লাগবে না বর্তমান সময়ে। তাসকিন আহমেদদের খেলতে হবে অলআউট ক্রিকেট। কারণ এই নেদারল্যান্ডস ভয়ংকর। দক্ষিণ আফ্রিকার ‘বি’ টিম বলা হচ্ছে তাদের। তারা শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩০৯ রানে হারলেও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তাই সাকিবদের জিততে হলে প্রতিপক্ষকে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া যাবে না। এককথায় শুরুতে উড়িয়ে দিতে হবে নেদারল্যান্ডসকে।
ওয়ানডেতে টিম টাইগার্স ডাচদের মুখোমুখি হয়েছে দুবার। তাতে প্রথমবার বাংলাদেশকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করে ডাচরা। পরেরবার অবশ্য হিসেবনিকেশ সমতায় ফেরায় টাইগাররা। ২০১০ সালের প্রথম দেখায় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মাশরাফিদের। ৩০ ওভারের সেই ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ১৯৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় ডাচরা। বিপরীতে ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপে অবশ্য জয় তুলে নিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।