যশোরে করোনা পরীক্ষার টাকা হজমে আটকে গেছে ৩ জনের পেনশন

আগের সংবাদ

যে কোনো পরিস্থিতিতে মাঠে থাকবে বিএনপি

পরের সংবাদ

হাতে থাকবে জাতীয় পতাকাসহ লাঠি

রাজপথ দখলে নানা কৌশল আ. লীগের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৩ , ১২:২১ পূর্বাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২৩ , ১২:২১ পূর্বাহ্ণ

আজকের শান্তি সমাবেশ ঘিরে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। এখন পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ আয়োজনে অনড় অবস্থানে রয়েছে তারা। শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতির পাশাপাশি বিএনপি ও তার মিত্রদের মহাসমাবেশকে ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজধানীর রাজপথ দখলে নানা কৌশল নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

শান্তি সমাবেশের দু’দিন আগে থেকেই মিছিল-সমাবেশ নিয়ে রাজপথে নেমেছেন সরকার সমর্থক নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। সেইসঙ্গে রাজধানীর অলিগলি ও পাড়ামহল্লায় নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। কোনো অবস্থায়ই বিএনপিকে ছাড় না দেওয়ার মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজপথে নেতাকর্মীর অবস্থান আরও জোরদার করা হবে। এই সময় থেকে রাজধানীর চারপাশের সব প্রবেশপথে নেতাকর্মীর পাহারা বসানো হবে। বিএনপির মহাসমাবেশের এক দিন আগে থেকে এমন পাহারা বসানোর ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারক নেতারা। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট নেতারা।

এদিকে, শান্তি সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপির মহাসমাবেশ ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে ঘিরে দেশজুড়ে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিষয়ে দলীয় বক্তব্যও তুলে ধরেন তিনি।
বিএনপি ও তার মিত্রদের মহাসমাবেশের কর্মসূচিকে মোকাবিলা করতে আগেভাগে রাজপথ দখলে রাখার প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর পাড়া-মহল্লা, অলিগলি ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাঠ দখলের তৎপরতা শুরু করেছেন দল ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত কয়েক দিনের মতো গতকালও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতারা মাঠের নেতাকর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন।এসব বৈঠক থেকে নেতাকর্মীকে শুক্রবার জুমার পরই রাজপথে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধীরা রাজপথে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবেন। সরকারবিরোধীদের মোকাবিলা করতে নেতাকর্মীর হাতে থাকবে জাতীয় পতাকাসহ গজারি লাঠি। কিছু লাঠিতে থাকবে সরকারের উন্নয়নচিত্র সংবলিত ফেস্টুন। কোথাও বিরোধীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করামাত্রই প্রয়োজনে ওই লাঠি দিয়েই তাদের শায়েস্তা করা হবে। গণপিটুনি দিয়ে তাদের রাজপথ থেকে তাড়ানো হবে। অবশ্য প্রকাশ্যে নেতারা বলছেন, সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তাদের এমন প্রস্তুতি।

গণপিটুনি বা তাদের ওপর হামলা করা মূল লক্ষ্য নয়। তবে হামলা বা নাশকতা করলে ছাড় দেওয়া হবে না। নেতাকর্মীর এমন অবস্থান বিএনপির মহাসমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। সরকারবিরোধীদের সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে রাস্তায় রাস্তায় মোটরসাইকেল মহড়াও দেবেন নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়