বিশ্বকাপ শেষে ডোনাল্ডদের বিদায়!

আগের সংবাদ

বলিউডে পা দিয়েই মিমির চমক!

পরের সংবাদ

বাগআঁচড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৩ , ৯:৩৮ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২৩ , ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ অফিসের সহকারি জেনারেল (এজিএম) ম্যানেজার গাজী সোহরাব হোসেনের যোগদানের পর থেকে এসকল অনিয়ম শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার সাথে কথা বলতে গেলে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা সামটা, জামতলা বাজার ও টেংরা গ্রামে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখা হয়।

নাভারন ফজিলাতুনেছা মহিলা কলেজের প্রভাষক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কোন মাইকিং ছাড়াই তাদের ইচ্ছে মত বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করে লাইনের রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করেন কর্তৃপক্ষ। নিয়ম আছে কোন লাইন বন্ধ করতে হলে অন্তত আগের দিন মাইকিং করে সকল গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া। কিন্তু তা না করে নিজেদের ইচ্ছে মত লাইন বন্ধ রাখে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। আর বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

জামতলার ঐতিহ্য জামতলার মিষ্টি। এখানে অন্তত ১৫টি ছোট বড় মিষ্টির দোকান রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকার কারণে ফ্রিজিং করা দই, মিষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। পূর্ব ঘোষণা থাকলে তারা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম, এমনটি বলেন এক ব্যবসায়ী।

জামতলার সাদেক গোল্লার পোতা ছেলে প্রান্ত রূপান্তর প্রতিদিনকে বলেন, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পরপর দুই দিন জামতলা এলাকায় বিদ্যুৎ নেই । এতে করে আমাদের মিষ্টি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা মিষ্টি নিতে আসলে বারাবার ফ্রিজ খুলতে হয় যার কারণে মিষ্টি টক হওয়ার ভয় থাকে। এই মিষ্টি যদি টক হয়ে যায় তাহলে আর কেউ খাবে না।

জামতলার বিশিষ্ঠ ফিড ব্যবসায়ী মিলন বলেন, বাগআঁচড়া পল্লী বিদ্যুৎ এর সাব জোনাল অফিসের অনিয়মের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,বিদ্যুৎ বিলের গ্রাহক কপিতে দেওয়া নাম্বারে কোন দরকারে ফোন দিলে তা সব সময় বিজি দেখায়। তাহলে নাম্বারটি কি খেলা করতে দেওয়া হয়েছে? নাকি গ্রাহক সেবার জন্য দেওয়া হয়েছে। এমনটি প্রশ্ন করেন তিনি।

এ বিষয়ে রূপান্তর প্রতিদিনের প্রতিনিধি বাগআঁচড়া পল্লী বিদ্যুৎ এর সাব জোনাল অফিসের (এজিএম)গাজী সোহরাব হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যখন তিন চারটি এলাকা জুড়ে জরুরী রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করা হয় তখন আগের দিন মাইকিং করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই দুই দিন জামতলা এলাকায় কাজ করা হচ্ছে বলে শুধু মাত্র ঐ এলাকায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবারহ সচল রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়