সাতক্ষীরায় শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

আগের সংবাদ

শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষে মিলনের মত বিনিময় সভা

পরের সংবাদ

চিরচেনা ঢোলকলমি এখন বিলুপ্তির পথে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৩ , ৯:০১ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২৩ , ৯:০১ অপরাহ্ণ

সাদা ও বেগুনি রঙের পাপড়ি জড়ানো দৃষ্টিনন্দন একটি ফুলের নাম ঢোলকলমি। পাঁচটি পাপড়ির মেলবন্ধনে ফুটে উঠে ফুলটি।

শরতের নীল আকাশপানে চেয়ে মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া এ গাছটি শীত ও বর্ষাকাল পর্যন্ত দেখা যায়। কখনো রাস্তার ধারে, জলাশয়ে, নদীর কিনারে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় গজিয়ে উঠে গাছটি। তবে ৮-১০ ফুট লম্বা ঢোলকলমি গাছটি এখন বিলুপ্তির পথে। শৈশবের খেলার সঙ্গী ঢোলকলমির ডালে গড়া খেলার ঘর আর কনে সাজানো ফুলের বাহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নতুন প্রজন্ম।

একসময় গ্রাম অঞ্চলে রাস্তার ধারে ঢোলকলমি গাছ দেখা গেলেও এখন আর চোখে পড়ে না। তবে শার্শার সামটা গ্রামের কিছু জায়গায় এর দেখা মিলেছে। ঢোলকলমি জমির ক্ষয়রোধ করে। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা আছে বলে গ্রামাঞ্চলে এই গাছ বাড়ি বা জমিতে বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে।

উপজেলার সামটা গ্রামের প্রবীন কৃষক উজির আলী বলেন, গ্রামের ভাষায় এই গাছ আমাদের কাছে ঢোলকমলি গাছ হিসেবে পরিচিত। পুকুরের পাড় ভাঙন রক্ষায় এটি ব্যবহার করতাম। আবার রান্নার জ্বালানি উপকরণ হিসেবেও ব্যবহার করতাম। তবে এখন আর খুব একটা দেখা যায় না।

মহিষাকুড়া এলাকার মিজান বলেন, ঢোলকলমি একটি উপকারী গাছ। এ গাছ দিয়ে বেড়া তৈরি করা। সবচেয়ে বড় উপকার হয় মাটি ক্ষয়রোধের কাজে। বর্ষা কিংবা বন্যার মৌসুমে ঢোলকলমি গাছ নদীর তীর ভাঙন রক্ষায় উপকারে আসে।

জামতলার চা বিক্রেতা মফিজুর রহমান বলেন, আগে আমরা এই কলমি কচাগাছের আঠা দিয়ে ছেড়া টাকা জোড়া লাগাতাম। ছোট বেলায় বর বউ খেলায় এই ফুল দিয়ে আমরা বর বউ সাজাতাম।এখন আর এই কলমি কচা তেমন দেখা যায় না।

সামটা গ্রামের সাত্তার বলেন, এক সময় গুজব উঠেছিল ঢোল কলমি গাছে এক ধরনের পোকা থাকে সেই পোকা মানুষকে কামড়ালে নাকি মানুষ মারা যেত। সে কারণে আস্তে আস্তে মানুষ এই কলমি কচা কেটে ফেলে। আর সেই কারণে এখন কলমি কচার আকাল হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়