আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের আচমকা হারের পর এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও হারের তিক্ত স্বাদ পেল গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও এর আগে ডাচদের বিপক্ষেও হারের স্বাদ গ্রহণ করে প্রোটিয়া বাহিনী। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় থ্রি লায়ন্সরা। এ ম্যাচে এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত মাঠে নামেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এছাড়াও ছিলেন না নিয়মিত প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পরলেও পরবর্তীতে সেই চাপ কাটিয়ে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের ম্যাচগুলোতে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও এ ম্যাচে শতক পান হেনরিক ক্লাসেন। তার ১০৯ রান এবং রেজা, ডুসেন এবং জানসেনের ফিফটির বদৌলতে ৩৯৯ রানের পাহাড় গড়ে তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ২২ ওভারে ১৭০ রানের মধ্যেই ৯ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ইনজুরির কারণে ব্যাটিংয়ে নামেননি রিচ টপলি। এর ফলে ২২৯ রানর বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আফগানদের ২৭৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৭ বলে ১০৯ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন হেনরিক ক্লাসেন।
প্রোটিয়াদের দেয়া ৪০০ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্কোরবোর্ড প্রেসারে উইকেট খোয়াতে থাকে ইংলিশরা। টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডারের কারো ব্যাট থেকেই বলার মত কোন রান আসেনি। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। সবাই যেন এক প্রতিযোগিতায় নেমেছেন কে কত আগে ড্রেসিংরুমে ফিরবেন।
এর আগে ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ রান এসেছে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু পরের বলেই এই ওপেনারকে ফেরান টপলি। উইকেটের পেছনে বাটলারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান। ডি কক দ্রুত ফিরলেও দলকে ভালো শুরু এনে দেন রেজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেন। এই দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। চারে নেমে এইডেন মার্করামও থিতু হয়ে ফিফটির পথে হাঁটছিলেন। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার আগেই ৪৪ বলে ৪২ রান ফিরেন তিনি। টপ অর্ডার ব্যাটাররা রান পাওয়ায় মিডল অর্ডার ব্যাটাররা স্ট্রাইকরেটে মনযোগি হন। সেই পথে হেঁটে সফলও হয়েছেন ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। ক্লাসেন ৬৭ বলে করেছেন ১০৯ রান। তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৬২। জানসেন তার চেয়েও আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৪২ বলে করেছেন অপরাজিত ৭৫ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৭৯ স্ট্রাইকরেটে। তাদের এই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করেই ৩৯৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। ইংলিশদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন রিচ টপলি। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন গুস এটকিনসন এবং আদিল রশিদ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।