এবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। প্রাথমিকভাবে সেখানে একজনের নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। তারা হামলার পরিকল্পনা করার জন্য কমান্ড সেন্টার হিসেবে ওই ভবনটিকে ব্যবহার করে আসছিল।
বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য মসজিদটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলায় মসজিদের বাইরের অংশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসছেন।
অবশ্য ইসরায়েলি এই হামলায় হতাহতের পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানানোর পর ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় বিমান হামলা। অবশ্য গাজার মসজিদগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং সর্বশেষ দুদিন আগে ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়েছে গাজার একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক গত শুক্রবার জানায়, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় ধসে পড়েছে গাজা উপত্যকার ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদ। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত মসজিদটি ধ্বংস হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ওই মসজিদটির তিনটি ছবিও প্রকাশ করে।
বিগত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যাই ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি।
উল্লেখ্য, টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও গির্জা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।