মণিরামপুরে রোকেয়া ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে হাফিজা বেগম (৪০) নামে এক নারী হাত হারাতে বসেছেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার দোস্তপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের স্ত্রী। এ ঘটনায় তার ছেলে আশিকুর রহমান সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৪ রমজান একটি দুর্ঘটনায় হাফিজা বেগমের ডান হাত ভেঙে যায়। এ সময় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলার রোকেয়া ক্লিনিকে ডাক্তার নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করেন। সেখানে ৩৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ২৮ এপ্রিল তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। এক সপ্তাহ ভর্তি থাকার পর ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে গেলে হাতে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। পুনরায় তিনি রোকেয়া ক্লিনিকে গেলে সেখানে ভর্তি রাখতে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ ও তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
ভুক্তোভোগীর ছেলে আশিকুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত তার মাকে ৩ বার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। সর্বশেষ তাদের জানানো হয়েছে হাত বাঁচাতে হলে ঢাকা বা ভারতে নিয়ে যেতে হবে। যশোরে এ সমস্যার কোনো চিকিৎসা নেয়। তাদের যশোরের বাইরে চিকিৎসা করাবার মতো সমার্থ নেয়। রোকেয়া ক্লিনিকে যোগাযোগ করলে তারা এ রোগীর দায়িত্ব নিয়ে অস্বীকার করছেন। শুধুমাত্র ওই ক্লিনিকেই খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তার মায়ের চিকিৎসার জন্য লাখ টাকা খরচ হলেও এখনো সুস্থ হতে পারেনি। ডাক্তার নজরুল ইসলামের অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে তার মা। ইতিমধ্যে হাতে পচন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হচ্ছে। যা তাদের পরিবারের জন্যে কষ্ট সার্ধ। তিনি এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ডা. নজরুল ইসলাম ডাক্তার তৈরি করেন সে কারনে আমাদের ক্লিনিকে অপকিচিৎসা হওয়ার কোন সুযোগ নেয়। তার হাতে একটু সমস্য হয়েছিল কিন্তু সেটা ঠিক হতে একটু সময় লাগবে।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বকত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।