হিরামন চক্রের বিরুদ্ধে
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কলেজ শিক্ষার্থী সাথী আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের একটি পতিতালয়ে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি নারী পাচারকারী চক্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে পাচার করেছে বলেও অভিযোগ। এ ঘটনায় মামলা হলেও ভিকটিমকে উদ্ধারের কোন পথ দেখতে না পেয়ে স্বজনদের আহাজারি চলছে।
মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের খুবই দরিদ্র আকবর আলী গাজীর মেয়ে সাথী আক্তার যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের মাস্টার্সে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। একই উপজেলার হরিনা গ্রামের পঞ্চানন সানার ছেলে হিরামন সানাসহ কয়েকজনে মিলে সাথীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। এভাবে চলতে চলছে এক পর্যায়ে সাথীর সাথে হিরামন সানা নাটকীয় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এছাড়া, হিরামন সানার মা সুচিত্রা সানা, পিতা পঞ্চানন সানা এবং সেখানকার দীপক রায় প্রায়ই সাথী আক্তারের বাড়িতে গিয়ে বলতেন হিরামনের বিশাল ক্ষমতা এবং চাকরী দিতে পারে। এক পর্যায়ে হিরামন সানা সাথী আক্তারকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয় এবং সুপরিকল্পিতভাবে চলতি বছরের ১৭ মার্চ ওই পাচারকারী চক্রের সহযোগিতায় ভারতে পাচার করে দেয়।
এমন অভিযোগ এনে সাথীর অসহায় মা মরিয়ম বিবি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিলে গত ১২ জুন মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-২ যশোর আদালতে মামলা করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে মনিরামপুর থানায় ওই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হলেন হরিনা গ্রামের হিরামন সানা, পঞ্চানন সানা, দীপক রায় সুচিত্রা সানা এবং ডুমুরিয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বিশ্বজিৎ ও জোসনা। মামলা রেকর্ড করার পরে পুলিশ ৬ আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র একজনকে আটক করে চালান দিয়েছে। এদিকে, ভিকটিম সাথী আক্তার সুযোগ পেয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেছে তাকে ২ লাখ টাকায় ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে এবং তাকে দিয়ে জোর পূর্বক দেহব্যবসা করানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।