যবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে অফিস টাইমে দেখা মেলে না ডাক্তারের

আগের সংবাদ

মনিরামপুরের কলেজ শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের পাচারের অভিযোগ

পরের সংবাদ

কালীগঞ্জের সেই তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ারম্যানের বাড়িতে

মিললো সরকারি ত্রানের টিন!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের সেই তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতুর বাড়িতে মিললো প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৬০ পিস সরকারি ত্রানের টিন। যে টিন গুলির গায়ে লেখা আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার, বিনামূল্যে বিতরনের জন্য দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রানালয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০২১-২০২২।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতুর বাড়ির কলপাড়ে পাশে ঘরের দেয়ালে টিন গুলি রাখা রয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা পিআইও অফিস থেকে এই টিনগুলি দেওয়া হয় ইউনিয়নের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য। হতদরিদ্র পরিবারকে সহায়তাকল্পে অন্যান্য ইউনিয়নের সাথে ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নেও সরকারি ত্রানের টিন বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, হতদরিদ্রদের টিন দেওয়ার সময় প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতু টিনের প্রতি বান থেকে এক পিস করে টিন নিজে রেখে দেন তার বাড়িতে গোয়ালঘর তৈরি করার জন্য। শুধু তাই নয় অভিযোগ আছে বর্তমানে ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকল্পের সকল কাজ করান তার ভাই কোরবান, ভাগ্নে রাসেল ও শামিমকে দিয়ে।

ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানা জানান, আমি জনপ্রতিনিধি ছিলাম অনেক লোক আমার কাছে এখনও এসে হাউমাউ করে। আমি কিছু বল্লে হয়ত অনেকে অনেক কিছু মনে করতে পারে মানুষ এখন তার উপরে এতোটায় ক্ষুব্ধ মনে হচ্ছে যেন এখনই পরিবর্তন প্রয়োজন। একটি সরকারি ত্রানের মালামাল একজন চেয়ারম্যানের ঘরে থাকতে পারেনা যদি তিনি প্রকৃত জনপ্রতিনিধি হয়ে থাকেন। যদি বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়িতে সরকারি ত্রানের টিন থেকে থাকে তাহলে এটা বে-আইনি এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ইতিপূর্বেও শুনেছি তিনি একটি প্রকল্পের ১৭ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করেছেন।

এই বিষয়ে ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের তৃতীয় লিঙ্গের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতু জানান, যাদের টিন তাদের বাড়ি আমার বাড়ির আশে পাশেই। তাদের বাড়িতে রাখার জায়গা নেই। টিনগুলি চুরি হয়ে যাবার ভয়ে আমার বাড়িতে রেখে গেছে। আর আমার বাড়ির চারপাশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা তাই আমার বাড়িতে রেখে দিয়েছি। আমার বাড়িতে সাংবাদিক এসে টিনগুলি দেখে যাবার পরই যাদের টিন আমি তাদেরকে বলেছি টিনগুলি তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে। তারা টিনগুলি নিয়ে গেছে। আপনারা আসেন এসে দেখে যান আমার বাড়িতে কোন সরকারি টিন নেই। আমি সরকারি টিন কি করবো? আপনারা এসে দেখে যান।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান জানান, টিনগুলি আমরা সঠিক নিয়মেই বিতরণ করেছি। চেয়ারম্যান সাহেব টিনগুলি পরবর্তীতে কি করেছেন তা আমি বলতে পারবোনা।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, বিষয়টি আমি জানার পরে চেয়ারম্যনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তিনি আমাকে জানান একজন বা দুইজন লোকের টিন তারা বাড়ি তৈরি করছে মাঠের ভিতর টিন চুরি হয়ে যাবে বলে তারা নেয়নি তাই আমার বাড়িতে রেখে গেছে। সেই ঘর তৈরি হলে টিন গুলি নিয়ে যাবে। যদি এখানে কোন অন্যায় দেখা যায় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আহ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়