চৌগাছার মর্জাদ বাওড়ের ১’শ ৯ একর জমি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলের অভিযোগ

আগের সংবাদ

যবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে অফিস টাইমে দেখা মেলে না ডাক্তারের

পরের সংবাদ

যশোর টাউনহল ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদজ্ঞাপন’ অনুষ্ঠান

দেশি-বিদেশি কোনও ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: কাজী নাবিল এমপি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৩ , ১০:২১ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২১, ২০২৩ , ১০:২১ অপরাহ্ণ

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, দেশি-বিদেশি যত ষড়যন্ত্রই হোক না, তারা সফল হবে না। কেননা এদেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করে, ভালবাসে তার প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে।

তিনি বর্ততমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি ভারতে জি-২০ সামিট হয়ে গেলো। সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুধুমাত্র দেশের মানুষের উন্নয়নে তার ভূমিকার জন্যে। সেখানে বিশ্বের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন।

এমপি কাজী নাবিল আহমেদ শনিবার বিকেলে যশোর টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদজ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

যশোর সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, নারী ও শিশুদের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের দক্ষতা ও সামর্থবৃদ্ধিতে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে যশোর সদর উপজেলার প্রত্যক্ষ উপকারভোগী জনসাধারণের’ পক্ষ থেকে এই ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনি সাধারণ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার প্রতিবাদে আজ আমাদের দেশে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সেই সাহস দেখাতে পারেনি। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি বিভিন্নসূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে এমপি কাজী নাবিল বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমরা দুর্ববার গতিতে এগিয়ে চলেছি। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, রাস্তাঘাট, ব্রিজ- প্রত্যেকটি উন্নয়নের কারণে সারাবিশ্বে আমরা এখন রোল মডেল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের গল্প শুনতে চান।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬০ মিলিয়ন ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬০ মিলিয়ন ডলারে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল তিন হাজার মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ২৫ হাজার মেগাওয়াট। আমাদের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে অনেক। এগুলো রসম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে।

এমপি কাজী নাবিল আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা ভাবেন। সেইকারণে তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছেন, তাদের ভাতা বাড়িয়েছেন। দেশের বিধবা, বয়স্ক, শিক্ষা উপবৃত্তি এমন দেড়শ’ বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন, যাতে এদেশের মানুষ একটু ভালো থাকতে পারে।

শেখ হাসিনা সেই পিতার সন্তান, যিনি উচ্চকণ্ঠে বলেছিলেন, দেশ দুইভাগে বিভক্ত। একটা অংশে শোষক, আরেক অংশে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর এই কথাকে হৃদয়ে ধারণ করেই জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছেন।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্যে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে ২০০১ সালে সেটি বন্ধ করে দেয়। কেননা তারা চায় না, এদেশের হত দরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাক। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ফের এটি চালু করেন। যা এখন আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর এইসব সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বিএনপি জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ভেতরে তারা ষড়যন্ত্র করছে। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মানে না। জনগণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের নারকীয় কর্মকাণ্ড ভোলেনি, ভোলা যায় না। দেশব্যাপী সিরিজ বোমা, গ্রেনেড হামলা, বাংলা ভাইয়ের উত্থান, বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে কানসাটে গুলি, সার চাইতে গিয়ে ১৮ কৃষকের মৃত্যুর কথা দেশবাসী ভুলতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করতে তারা প্রায় তিন হাজার সরকারি অফিসে আগুন দেয়। চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। ঘুমন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ট্রেনলাইন উপড়ে ফেলেছে, গাছ কেটে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে। তাদের সেই নাশকতা দেশবাসী কখনোই ভুলবে না।

কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী জাতীয সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসন জননেত্রীকে উপহার দিতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে আমাদের উন্নয়ন যাত্রা সচল থাকবে, দেশ শান্ত থাকবে।

যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অনুপ দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, পৌরমেয়র হায়দার গণী খান পলাশ, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন বিপুল প্রমুখ।

আহ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়