দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওই জয়ই মোমেন্টাম ঠিক করে দেবে এমনই ছিল আশা। এরপরই উল্টো রথে ছুটতে শুরু করেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারের পর এবার ভারত ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।
বৃহস্পতিবার পুনের ব্যাটিং বান্ধব উইকেট টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনজুরিতে সাকিব আল হাসান না থাকায় টপ অর্ডারের ওপর প্রত্যাশার চাপ বাড়ে। ওই চাপ দারুণভাবে সামলান তরুণ তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। তারা ৯৩ রানের জুটি দেন। তানজিদ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেই আউট হন। ৪৩ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৫১ রান করেন।
পরের ৪০ রানে আরও তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান নাজমুল শান্ত (৮) ও মেহেদী মিরাজ (৩)। দল যে লিটন দাসে আশা দেখছিল তিনি ৮২ বলে সাতটি চারের শটে ৬৬ রান করে আউট হন। এরপর দলকে জুটি দেওয়ার চেষ্টা করে আউট হন তাওহীদ হৃদয়। তিনি ৩৫ বল খেলে মাত্র ১৬ রান করেন। সেট হওয়া মুশফিক ৪৬ বলে ৩৬ ও মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বল খেলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪৬ রান করলে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে ঝড়ো শুরু করে স্বাগতিক ভারত। রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল ১২.৪ ওভারে ৮৮ রান যোগ করেন। ঝড় তোলা রোহিত ৪০ বলে সাতটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হন। এরপর গিল ফিরে যান ৫৫ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫৩ রান করে। শ্রেয়াস আয়ার (১৯) অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি।
তাতে জয় পেতে কোন কষ্টই হয়নি ভারতের। বিরাট কোহলি ৯৭ বলে হার না মানা ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ৪১.৩ ওভারে জয় তুলে নেন। বিরাট ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কার শট খেলেন। দল যখন জয় হতে ১৫ রানে দূরে। তখন বিরাটের রান ছিল ৮৫। তারপরও দুই ছক্কা ও এক চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। এছাড়া কেএল রাহুল খেলেন ৩৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস।
ভারতের হয়ে এই ম্যাচে ১০ ওভারে যথাক্রমে ৪১ ও ৩৮ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও রাবীন্দ্র জাদেজা। দুই উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজও। বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী মিরাজ ২ উইকেট নি
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।