ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে আজ শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনব্যাপী এ উৎসবের। উৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে যশোরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তায় বলায় গড়ে তুলতে বৃহস্পতিবার আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রস্তুতির বিষয়টি অবহিত করতে প্রেসব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম পিপিএম বার।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, এ জেলার ৭৩৩টি পূজা মন্ডপকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ডপে মন্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষেও নানামুখি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে যশোরের ৬শ’টি মন্ডপে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষে দেয়া হয়েছে দেড় হাজার চৌকস ফোর্স। টহলে রয়েছে আড়াইশ’ পেট্রোল ও মোবাইল টিম। আলেমসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে করা হয়েছে সম্প্রীতি কমিট। রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিমও।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় থাকবে পুলিশ। এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পূজোকে কেন্দ্র করে পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সজাগ। পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও। উৎসবের আমেজেই পূজা উদযাপিত হবে। যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার ব্যাপারে যোগাযোগের জন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।