বাংলা ওয়েবে ফিরছেন রাইমা

আগের সংবাদ

দুর্গাপূজায় জিরো টলারেন্সে যশোর পুলিশ

পরের সংবাদ

দেশে ধারাবাহিকভাবে শান্তি রক্ষার্থে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই: এমপি কাজী নাবিল

আহা/

রূপান্তর প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩ , ১২:৪০ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২৩ , ১২:৪০ অপরাহ্ণ

যশোর- ৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যেতে কিংবা ক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনা থাকলে দেশে নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশব্যাপী বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা আগুন সন্ত্রাস তারই প্রমাণ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের সেই অপতৎপরতার আশঙ্কা রয়েছে। সেকারণে আমাদের প্রত্যেককে তাদের ব্যাপারে আরও সচেতন থাকতে হবে। দেশে ধারাবাহিকভাবে শান্তি রক্ষার্থে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনার বিকল্প নেই। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ ও প্রশান্তিতে একমাত্র শেখ হাসিনাই রাখতে পারেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সরকারি ও সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বক্তিগত অনুদান মন্দির কমিটির মধ্যে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের যশোর লালদীঘি এলাকার কার্যালয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যশোর সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ আরও বলেন, আমরা বিএনপি-জামায়াত চক্রের উগ্রবাদ দেখেছি। তাদের সময়েই দেশে বাংলাভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের মতো উগ্র জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছিল। বর্তমানেও তারা দেশকে সেই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্যে ফাঁদ তৈরি করেছে। আমরা সেই ফাঁদে যেনো না পড়ি। কেননা তারা সেই সময় জেলায় জেলায় গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, রেল লাইন উপড়ে ফেলেছে, গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। তারা ক্ষমতায় এলে আবারও দেশকে তেমন অগ্নিকান্ড করে ফেলবে।

সংসদ সদস্য কাজী নাবিল বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে যে সংবিধান করেছিলেন, তার চার মূলনীতি। সেই চার মূলনীতির অন্যতম একটি হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। কিন্তু ১৯৭৫ সালে নারকীয় ঘটনার পর দেশে কয়েকদফা অগণতান্ত্রিক সরকার এসেছে। তারা নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সেই সংবিধানকে বারবার কাটাঁছেড়া করেছে। সেইসব অগণতান্ত্রিক সরকার বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়েছে। বাঙালির চিরায়ত সৌহার্দ্য বিনষ্ট করেছে।

তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে উন্নয়নের নানা ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের উন্নয়ন আন্তর্জাতিকভাবে মূল্যায়ন হয়। আমাদের সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ফের জাতিরজনকের কন্যাকে যশোরের ৬টি আসন উপহার দিয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

আমাদের নেত্রী বলেছেন, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সকলের। অর্থাৎ, ঈদ, পুজো, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমার আনন্দ উৎসব আমরা সবাই মিলে করবো। তিনি চান, অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার মোট ১৭৬ টি মন্দিরে সরকারি অনুদান ও সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের ব্যক্তিগত অনুদানের অর্থ মন্দির কমিটির নেতাদের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি দীপংকর দাস রতন, সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ ও রবিন কুমার পাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুখেন মজুমদার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, জেলা শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জবেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রচার সম্পাদক শেখ জাহিদ হোসেন মিলন, দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এর আগে শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে একটি সম্প্রীতি শোভাযাত্রা শহরের লালদীঘি পাড় এলাকার পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যালয় থেকে বের হয়ে আবার ফিরে আসে। শোভাযাত্রায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করে।

এদিকে, দুপুরে কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবনে জেলা শ্রমিকলীগের আয়োজনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাজী নাবিল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। জেলা শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জবেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদেও ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, প্রচার সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মহসিন কবির, রাহেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, আনিচুর রহমান, সাবেক প্রচার সম্পাদক শরীফ আব্দুল্লাহেল মুকিত, প্রচার সম্পাদক চাঁন মিয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ তৌহিদুর রহমান শাহিন, সহ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মাসুম, সদর উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম-আহবায়ক নাজিম হোসেন বাহাদুর ও শিক্ষাবোর্ড কর্মচারি ইউনিয়ন সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান।

সন্ধ্যা ৬টায় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ মণিহারে ‘মুজিব একটি জাতির রুপাকার’ সিনেমা দেখতে যান। সেখানে তার সাথে ব্যাপক নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়