কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, রাজনীতিতে যখন জ্বালাও পোড়াও আসবে, ভাঙচুর আসবে, তখন বুঝতে হবে তারা হেরে যাচ্ছে। তারা (বিএনপি) এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন রাজনীতি অর্থহীন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ‘মহাসড়কের পাশে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধকে’ দেখতে এসে আগামী নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, আমরা আইয়ুব খানকে জ্বালাও পোড়াও করে বিদায় করিনি, আমরা লাখো মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে আইয়ুব খানকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলাম। তার পুলিশ, ইপিআর ও আর্মিকে স্তব্ধ করে আমরা বঙ্গবন্ধুকে জেলের তালা ভেঙে বের করে এনেছিলাম। আজকে যদি তারা তেমন গণঅভ্যুত্থান করতে পারেন, করবেন!
দেশের রাজনীতিতে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকা এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে যাবে এটা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। বিশেষ করে ইসরাইল এখন গাজায় যা করছে, সেখানে আমেরিকা ইসরাইলের কর্মকান্ডকে একেবারে সর্বোতভাবে সাহায্য করছে। যারা মানুষ হত্যার পেছনে থাকে বাংলার মানুষ তাদের পেছনে থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে দিয়েও পরাজিত হয়েছিল। এবার না হয় অষ্টম নৌবহর বা দশম নৌবহর পাঠাবে।
কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন- আমি চাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিক। ভোটারের উপস্থিতি যদি না হয় তাহলে সেটা আমার বোনের (শেখ হাসিনা) জন্য কলঙ্কজনক হবে। সংবিধান অনুসারে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। আসন্ন নির্বাচনে ৭০-৮০ শতাংশ ভোট যদি কাস্ট হয়, জাল ভোট যদি দিতে না হয়, তাহলে আমার তো মনে হয় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চাইতেও কিছুটা উপরে যেতে পারে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রয়োজন হলে আমরা ৩শ আসনে প্রার্থী দেব।
এর আগে বেলা ১১টায় চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী আব্দুল মালেক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সদস্য সৈয়দ মাহবুবুর রহমান পারভেজ, আবুল হোসেন, ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলন সভাপতি হাবিবুন নবী সোহেল, যুব নেতা ইমরান জিসান, শাকিলুর রহমান শাকিল ও রাসেল মোহাম্মদ ডালিম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।