আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশের উন্নয়ন, এ দেশের অর্জন, এ দেশের গণতন্ত্র, এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ, এ দেশের স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে চান, দেশকে যদি ভালোবাসেন, তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভার পাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে আন্দোলনে সরকারের পতন হয়, আমাদের এখানে ৬৯-এর আন্দোলনে হয়েছে, এরশাদ সাহেবেরও পতন হয়েছে। বিরোধী দলের পতন কি হয় না? বিএনপি কতবার চেষ্টা করল, সব আন্দোলন ফেল করল, বিরোধী দলেরও তো পতন হয়। আমাদের দেশের নেতিবাচক রাজনীতিতে বিরোধী দল বারে বারে পতনের দিকে গেছে। এখনও তারা বিপথে চলছে। সে পথ ভুল পথ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশের দিকে তাকান, আর পনের বছর পর রূপান্তরিত বাংলাদেশ, যার রূপকার এখানে বসে আছে। এই রূপান্তর বিশ্বের বিস্ময়। দেশের জন্য যে মানুষটি সবকিছু বিসর্জন দিয়েছে, নিজের সুখ-শান্তি, একটা কমিটমেন্ট নিয়ে তিনি কাজ করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একটা দল দিন-রাত বিষোদ্গার করে, যাকে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কী বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সম্মান করে! এরা কি দেখে নাই? বহু প্রধানমন্ত্রী জি-টুয়েন্টিতে গেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো নিজেই সেলফি তুলেছেন, জি-টোয়েন্টিতে তুলেছেন, নিউ ইয়র্কেও তোলেন। তিনি তো অন্য কারও সঙ্গে তোলেন নাই। আমাদের সমর্থন করছে.. আমরা আনন্দিত সেই জন্য না.. শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দিয়েছে, গুরুত্বের মানেটা কী, এখানে সেটাই হচ্ছে বিবেচনার বিষয়। সমর্থনের কথা বলে লাভ নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন কত ঘরে কত আগুন। চারদিকে অশান্তির আগুন। এসব ছেড়ে বাংলাদেশের ফখরুল সাহেবকে উৎসাহ দেবে কে? তিনি তো প্রতিদিন এসব মিথ্যাচার করেন। পশ্চিমা বিশ্বের উৎসাহ তিনি পাচ্ছেন, এজন্য ভালো লাগছে, মির্জা আব্বাস বলে চাঁদ রাতের মতো লাগছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুর গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত। ওই তত্ত্বাবধায়ককে আর ডাকবেন না। ওটা ঘুমিয়ে আছে। জাগবে না। প্রধানমন্ত্রী কোন দুঃখে পদত্যাগ করবে? কী কারণে? বাংলাদেশ আপনি যাদের কথা বলেন, উৎসাহ পাচ্ছেন, তাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আইআরআই বলেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০% লোক শেখ হাসিনার পক্ষে। এবার আমাদের মানতে হবে, শত্রুরা ৪৭-এর লাইনে চলে গেছে। তারা দ্বিজাতি তত্তোর ওই লাইনে চলে গেছে। আমাদের লাইন ঠিক করতে হবে। কারণ আমি এই বাংলাদেশের লোক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।