নগদ টাকার চাহিদা বৃদ্ধি

আগের সংবাদ

নড়াইলের কালিয়ায় নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন উদ্বোধন

পরের সংবাদ

নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবাই একসঙ্গে থাকতেই পুঁজিবাজারে আসা

আইর/

রূপন্তর বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩ , ১২:৪২ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৩ , ১২:৪২ অপরাহ্ণ

রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (বুক বিল্ডিং পদ্ধতি) মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে রোডশো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহা. নূর আলী, কোম্পানির পরিচালকগণ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মো. সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানসহ পুঁজিবাজারের অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রসঙ্গে মোহা. নূর আলী বলেন, ‘এতদিন আমার পরিবারের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির এককভাবে মালিক ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনাদের তথা- স্টেক হোল্ডারদের সম্পৃক্ত করার। যখন আমি থাকব না! তখন আমাদের সঙ্গে আপনারাও এর মালিকানায় থাকবেন। এককভাবে না থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবাই একসাথে থাকব।’

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানোর গল্প শুনিয়েছেন। বোরাকের আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বোরাকের অংশীদার হবেন, তারা কখনো ঠকবেন না। আমি এবং আমার পরিবার কখনো কাউকে ঠকিয়ে কাজ করি না।’

আইপিও সম্পর্কে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোম্পানির চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে ও আংশিক ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে তথা- একটি সাত তারকা মানের ও দুটি পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণের জন্য যথাক্রমে ২০০ কোটি ও ১০০ কোটি এবং ঋণ পরিশোধের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। যেজন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে বাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা পূঁজি উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইপিওর পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পরিপালন করা হচ্ছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) সব নিয়ম যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে। এখন অংশীজন (স্টেক হোল্ডারের) পরামর্শ ও দর নির্ধারণ হলে তাও নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিশনে জমা দেওয়া হবে।

নিয়মানুযায়ী কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য প্রিমিয়াম নিতে চাইলে দুটি পদ্ধতি আছে। একটি হলো ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতি, অপরটি বুক বিল্ডিং। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তাদের নির্ধারিত মূল্যে সর্বনিম্ন দরের ছাড়কৃত দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পেয়ে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে দরে শেয়ার পান, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তার থেকে ১০ শতাংশ কমে পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে নিলাম বা বিডিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের দর কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়। এতে অংশ নেয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। তবে এ পদ্ধতিতেও কারসাজি হয়ে থাকে। আর কারসাজি ঠেকাতে যোগ্য বিনিয়োগকারীর জন্য কিছু শর্ত আরও রয়েছে বিএসইসির।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়