শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আগের সংবাদ

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের শোচনীয় হার

পরের সংবাদ

আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এসএম ইয়াকুব আলী‘র তৃণমূলে জনপ্রিয়তায় অবস্থান সুদৃঢ়

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ৫:৫৪ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২৩ , ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিআইপি (এনআরবি) বা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও যশোর জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব এসএম ইয়াকুব আলী যশোরের মণিরামপুুর উপজেলা ব্যাপী সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের সহযোগী হয়ে সামাজিক কর্মকান্ডে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের হয়েছেন অকৃত্রিম বন্ধু। তার উপর যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়রা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর (৫) মনিরামপুর থেকে দলীয় মনোনয়ন এসএম ইয়াকুব আলীকে দেয়ার দাবি তুলেছেন।

সূত্রে জানা যায়, যশোরে দেশের সর্ববৃহৎ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণে তার অবদান বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে মনিরামপুরের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি উপজেলার তৃণমূলের বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত, ত্যাগী নবীন-প্রবীণ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সেবা মুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। ইয়াকুব আলী বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের কার্য নির্বাহী সদস্য (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সহ ডজন খানেক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতিক সম্পাদক সাবেক মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বঞ্চিত, নিপিড়িত, ত্যাগী নেতাদের আস্থার অপর নাম ইয়াকুব আলী। মহামারি করোনা কালীন সময়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন ইয়াকুব আলী।

তিনি বলেন, সে সময় ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে গেছেন একছত্রভাবে। অসহায় দিনমুজুর, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি পরিবার, শ্রমিক শ্রেণরর পেশার পাশাপাশি নিন্মমধ্যবিত্ত মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছিয়ে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রীসহ করোনা কালীন সরঞ্জমাদি। দলমত নির্বিশেষে তিনি মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কমিটির সদস্য, বর্তমানে সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর গৌর কুমার ঘোষ নিজ রাজনীতির স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে ইয়াকুব আলীর মত এমন উদার মানুষিকতার লোক মেলেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী অসম্প্রদায়িত চেতনায় বিশ্বাসী এক রাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি ঈদ, পূজাসহ যে কোন পার্বণে থেকেছেন অসহায়, দরিদ্রসহ শ্রমিক শ্রেণির মানুষের পাশে। নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে উপজেলার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন প্রীতম বন্ধু। তার বিভিন্ন মহতী উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনিও দাবি করেন দলমত নির্বিশেষে তিনি মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন ইয়াকুব আলী। নির্লোভ, সেবা পরায়ন জনগণের আস্থাভাজন পরিচ্ছন্ন এই নেতাকে বএবার দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবিও জানান প্রবীন নেতা গৌর কুমার ঘোষ। তাকে এবার মনোনয়ন দেয়া হোক, জনগণ তার পাশে থাকবে। একই কথা বলেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির যুগ্ন সম্পাদক জি এম মজিদ। শুধু মিকাইল হোসেন, গৌর ঘোষ বা জি এম মজিদ না, স্থানীয় প্রবীণ অধিকাংশ নেতাই ইয়াকুবকে দলীয় মনোনয়ন দেবায় দাবি জানিয়েছেন।

এক সাক্ষাৎকারে রূপান্তর প্রতিদিনকে ইয়াকুব আলী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে দলীয় সিদ্ধান্ত পেলেই যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন এবং নির্বাচিত হয়ে স্বচ্ছ ব্যবস্থপনায় সুপরিকল্পিত উন্নয়নে দেশের মডেল হবে যশোর-৫ মণিরামপুর।

ইয়াকুব আলী আরও বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বঞ্চিত, নিপীড়িত, ত্যাগী নেতাদের সাথে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য এলাকায় সভা, সমাবেশের মধ্যমে সরকারের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে স্লোগান ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণা করেছেন সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাকে তাঁর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের হাত হিসেবে কাজ করাতে যদি নেত্রী মনোনয়ন দেন তাহলে অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো, নেত্রীর সেই সিদ্ধান্তের সম্মান জানানোর।

সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এসএম ইয়াকুব আলী যশোরের মণিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের আলহাজ্ব জবেদ আলী সরদার ও আলহাজ ফরিদা খাতুনের ছেলে। পিতা জবেদ আলী সরদার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী তৃণমুল নেতা। তার পরিবারের সকল সদস্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। চাচা হাতেম আলী সরদার স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত রিলিফ কমিটির ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং দাদা মোহাম্মদ আলী সরদার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়